মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ক্ষুদ্র আকারে পারফিউমের ব্যবসা শুরু করে সফল হয়েছেন বাংলাদেশের চট্টগ্রামের আফসার উদ্দিন। আমিরাতে গিয়ে শুরুতেই ছোট কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজের মধ্য দিয়ে কোনোমতে কর্মজীবন শুরু করেন। তারপর সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একসময় নিজেরাই হয়ে যান উদ্যোক্তা কিংবা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। বাংলাদেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী অধিকাংশ প্রবাসীর জীবনের গল্প অনেকটা এরকমই।
তেমনি এক সফল ব্যক্তি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসকারী চট্টগ্রামের আফসার উদ্দিন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফসার উদ্দিনের কর্মজীবনের শুরু হয় একটি পারফিউম কোম্পানিতে কাজের মধ্য দিয়ে। টানা ৭ বছর কর্মজীবনের নানা অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একসময় নিজেই ক্ষুদ্র আকারে বিনিয়োগ শুরু করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে হয়ে যান প্রতিষ্ঠানের মালিক। ২০০৯ সালে চট্টগ্রামের হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে বেকারত্ব ঘোচাতে আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন আফসার।
শুরুতে একেবারে শূন্য ছিলেন তিনি। তবে, মেধা আর কঠোর পরিশ্রমের জেরে আজ তিনি শূন্য থেকে শিখরে পৌঁছেছেন। গড়ে তুলেছেন আল মারজান নামে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
যার সুনাম আজ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। প্রতিষ্ঠানটির মূল্য বর্তমানে দুই কোটি টাকা। এভাবে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি আফসারের প্রতিষ্ঠানে বহু প্রবাসীর কমর্সংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। একমাত্র বাংলাদেশি পারফিউমের উপাদান উৎপাদন এবং সরবরাহকারী হিসেবে আফসার উদ্দিনের অবদান বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। আমিরাতে আফসারের মত হাজারো বাংলাদেশি ব্যবসায়ী রয়েছে। তবে সাধনা ও একাগ্রতার মাধ্যমে জীবনে সফলতা পেয়েছেন এমন সংখ্যা হাতে গোনা। প্রবাসে অবস্থানরত প্রবাসীদের স্বপ্ন জীবনযুদ্ধে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা।