‘যানজটে আটকা তৃষ্ণার্তদের ‘বিনামূল্যে’ পানি পান করালো একদল যুবক!

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ‘সড়ক’ বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভীর। এত সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। বরাবরের মতো ‘এবারও’ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কেও লক্ষ্য করা গেছে বিশালাকার যানজট। এই সুযোগে মহাসড়কের আশপাশের অস্থায়ী হকাররা পানি কলা পাউরুটিসহ বিভিন্ন খাবার অধিক দামে বিক্রি ‘করছেন’ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঠিক তখনই যানজটে আটকে থাকা তৃষ্ণার্ত ঘরমুখো ‘মানুষদের’ বিনা পয়সায় পানি সরবরাহ করছেন এক দল যুবক। শনিবার (৯ জুলাই) এমন ঘটনা ঘটেছে ‘টাঙ্গাইলের’ কালিহাতী উপজেলার মিরহামজানি গ্রামে। ওই গ্রামের বেল্লাল হোসেন লাল মিয়া সেলিম ফরিদসহ বেশ কয়েকজন যুবক সকাল থেকে ‘হাজার’ হাজার মানুষের মাঝে পানি সরবরার করেছেন। এছাড়া ওই গ্রামের নারীরা পানির পাশাপাশি বিভিন্ন ফলও খেতে দিচ্ছেন যানজটে ‘আটকে’ থাকা মানুষদের।

জানা যায় শুক্রবার ভোররাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে সড়ক দুর্ঘটনার কারণের ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট টোল ‘আদায়’ বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। শনিবার (৯ জুলাই) সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপার থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ‘করটিয়া’ পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। এখনো ২৩ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট রয়েছে।

কুরবান’ আলী নামে এক যুবক বলেন রাবনা এলাকায় তিন গ্লাস পানি ২০ টাকা দিয়ে কিনে খেয়েছি। অথচ একই জেলার কালিহাতীতে বিনা পয়সায় এক বোতল পানি পেয়েছি। এতে ‘আমার’ মতো হাজারো মানুষের উপকার হয়েছে। যারা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাদের জন্য দোয়া রইলো। কুষ্টিয়ার গোপাল মিয়া বলেন টাঙ্গাইল ‘যানজটে’ পড়ে আধা লিটার পানি ২৫ টাকা দিয়ে কিনে খেয়েছি। এখানে এসে দেড় লিটার পানি ফ্রিতে পেয়েছি। যানজটে আটকে থেকে দুর্ভোগ হলেও পানি সরবরাহ দেখে খুবই ভালো লাগছে। স্বেচ্ছাসেবক ‘বেল্লাল’ হোসেন লাল মিয়া সেলিম ও ফরিদ বলেন যানজটে আটকে থাকা মানুষদের সঙ্গে ‘অনেকেই’ অন্যায় করে থাকেন। তাই আমরা উদ্যোগ নিয়ে পানি সরবরাহ করছি। যতক্ষণ যানজট আছে ততক্ষণ পানি সরবরাহ করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *