হাটে গরু আছে ক্রেতা নেই, হতাশ’ খামারিরা!

ঈদুল আজহা ‘আসতে’ আর বেশিদিন বাকী নেই। উত্তরাঞ্চলের রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ প্রায় প্রতিটি জেলার বিভিন্ন পশুর হাটেই আছে পর্যাপ্ত পশু কিন্তু ‘পর্যাপ্ত’ ক্রেতার দেখা নেই। এদিকে এখন অবধি পশুর ক্রেতা হাটে না আসায় এবং পশু বিক্রি করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ছেন প্রান্তিক খামারিরা।

লালমনিরহাটের ‘কালীগঞ্জ’ উপজেলার সবচেয়ে বড় চাপারহাটসহ বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, এবার হাটদখল করে রেখেছে দেশি গরু। এছাড়াও ভারতীয় গরু লক্ষ্য করা গেছে। কোরবানির’ এ সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যাপারিরা এই হাটগুলোয় এসে গরু-ছাগল ক্রয় করতেন। এবার ব্যাপারিদের আনাগোনা নেই। খামারি-ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাটে ‘প্রচুর’ গরু আছে কিন্তু ক্রেতা নেই বললেই চলে। এবার লালমনিরহাটের হাটগুলোয় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দুই লাখ টাকা দামের গরু উঠেছে। চাপারহাটে’ গরু বিক্রি করতে আসা কৃষক রফিক সিকদার আলী বলেন, “দুটি গরু বিক্রি করতে হাটে তুলেছিলাম। দাম চাচ্ছি এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

অথচ এই দুটি গরুর দাম বলছে ৭০-৮০ হাজার। ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে না পেরে গরু দুটো বাড়িতে’ নিয়ে যাচ্ছি। শিয়ালখোওয়া হাটে গরু বিক্রি করতে আসা খামারি নবীন মিয়া বলেন, “দাম হাঁকিয়েছি দুই লাখ। কিন্তু এখন দেখছি ক্রেতা নেই। ব্যাপারি’ নেই। স্থানীয় কিছু ক্রেতা ও স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা দাম বলছে ৯০ থেকে এক লাখ। গরুর দাম একদমি নেই। এদিকে কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার একমাত্র ঐতিহ্যবাহী পশুরহাট যাত্রাপুর’ ঘুরে দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্র দুধকুমার ও ধরলা নদীর অববাহিকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পশু নিয়ে হাটে এসেছেন পাইকারি বিক্রেতা, খামারি ও গবাদিপশু পালনকারী প্রান্তিক কৃষকরা। দেশি গরুতে বাজার ভরে গেছে। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা’ পর্যন্ত। এ ছাড়াও ৯০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের গরুর দাম ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে।

হাটের ইজারাদাররা বলছেন, হাটে পর্যাপ্ত গরু ছাগল আছে। কিন্তু সে অর্থে ক্রেতা’ এখনো আসেনি। আশাকরছি কাল পরশুর মধ্যে ক্রেতা সমাগম বাড়ার পাশাপাশি গরুও বিক্রি হবে। গতবারের তুলনায় এবার বেশি দাম দিয়েই গরু ক্রয় হবে। কেননা’ গরু উৎপাদনে খামারির দাম অনেক বেড়েছে। তাই যারাই গরু কিনতে আসুক না কেন গরু কেনার বাজেট বাড়িয়ে আসতে হবে। এছাড়াও হাটগুলোয় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে’ মাইকিং করা হচ্ছে। হাটে মাস্ক ব্যবহার করতে ক্রেতা-বিক্রেতাকে অনুরোধ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *