আমদানি পণ্যের ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে’ ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ (ফরেক্স) চাপের মুখে রয়েছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই)’র তথ্য’ অনুসারে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সামগ্রিক রিজার্ভ ৭.৫ বিলিয়ন কমে ৫৭২.৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন’ অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর হস্তক্ষেপের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ’ গত ২০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে।
এদিকে সরকার স্থানীয় মুদ্রা রুপির বড় ধরনের দরপতন ঠেকাতে’ মার্কিন ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। ২২ জুলাই আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস কেন্দ্রীয় ব্যাংক’ রুপির দরে অস্থিরতার ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সে রয়েছে উল্লেখ করে আশ্বস্ত করেন যে ভারতে যথেষ্ট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে।
রিজার্ভ’ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশের বরাত দিয়ে টাইমস্ অব ইন্ডিয়া জানায় বাজারে চাহিদার তুলনায়’ বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ অর্থেই অপ্রতুল হওয়ায় আরবিআই বৈদেশিক মুদ্রার পর্যাপ্ত তারল্য নিশ্চিত করতে’ বাজারে ডলার সরবরাহ করছে। আরবিআই প্রধানের মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন রুপি গত কয়েক সেশনে ডলারের বিপরীতে নতুন রেকর্ডের’ সর্বনিম্ন ছুঁয়েছে জানুয়ারি থেকে রুপির মূল্য প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন’ অপরিশোধিত তেলের উচ্চ মূল্যের কারণে তেল আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারের ব্যাপক চাহিদার ফলে সাম্প্রতিক রুপির দুর্বলতা’ দেখা দিয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্র অনুসারে ডলারের বিপরীতে রুপির সর্বশেষ দর ১০ পয়সা’ শক্তিশালী হয়ে ৭৯.৯৫ থেকে ৭৯.৮৫ হয়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৫৭২ বিলিয়ন। তারপর থেকে’ ২০২১ সালের অক্টোবরে রিজার্ভ ৬৪২ বিলিয়নে পৌঁছেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার’ বাজারে অস্থিরতা রোধ করতে ৫০ বিলিয়নের বেশি ডলার বিক্রি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র : এএফপি