যে দুই আমলে মাফ হতে পারে রোজাদারের গুনাহ

ইবাদতের মহৎ মৌসুম মহিমান্বিত রমজান মাস সমাগত। যে বরকতময় মাসে মহান আল্লাহ তাআলা নেক আমলের সওয়াব সীমাহীনভাবে বাড়িয়ে দেন এবং অফুরন্ত কল্যাণ দান করেন। নেক আমলে উৎসাহী ব্যক্তিদের জন্য কল্যাণের সকল দরজা উন্মুক্ত করে দেন। এটি মহাগ্রন্থ আল-কোরআন নাজিলের মাস। কল্যাণ ও বরকতের মাস। পুরস্কার ও দানের মাস। এছাড়া মাস গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার সেরা মৌসুম। এ মাসে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে গুনাহ থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানে বিশেষ দুইটি ইবাদতে গুনাহ থেকে মুক্তির কথা বলেছেন। সেই আমল দুইটি কী? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসে গুনাহ থেকে মুক্তি লাভের দুইটি উপায় বর্ণনা করেছেন। এ দুইটি উপায় রমজানের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ ইবাদতও বটে। আর তা হলো-

১. রাতের বিশেষ নামাজ তারাবিহ পড়া।

২. রোজাদারকে ইফতার করানো।

তারাবি নামাজ পড়া

রমজান মাসে যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের উদ্দেশ্যে তারাবিহ পড়লো আল্লাহ তাআলা তার বিগত জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন মর্মে হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসে তারাবিহ নামাজ পড়তে উৎসাহিত করতেন, তবে তিনি (সরাসরি) তাগিদ সহকারে আদেশ করতেন না; বরং তিনি এভাবে বলতেন-

‘যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ ঈমানের সঙ্গে এবং সওয়াবের নিয়তে রমজান মাসে (রাতের) নামাজ (তারাবিহ) পড়ে, তার বিগত (জীবনের) সব (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (মুসলিম, মিশকাত)

রোজাদারকে ইফতার করানো

তারাবিহ নামাজ ছাড়া গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে রমজানের আরেকটি বিশেষ ইবাদত হলো- অন্য রোজাদারকে ইফতার করানো। এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে-

‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রমজান মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহগুলো মাফ হয়ে যাবে। সে দোজখ থেকে মুক্তি পাবে আর সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে, কিন্তু এতে রোজাদারের সওয়াব থেকে কিছুই কমানো হবে না।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের জন্য তারাবি নামাজ পড়ার পাশাপাশি অন্যকে ইফতার করনো অনেক ফজিলতপূর্ণ কাজ। এতে রোজাগারের গুনাহ মাফ হয়। নিজেদের মধ্যে নামাজ ও ত্যাগের অভ্যাস তৈরি হয়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে গুনাহ থেকে ক্ষমা লাভে নিয়মিত তারাবি ও অন্যকে সাধ্যমতো ইফতার করানো কিংবা গরিব-অসহায়কে ইফতার সামগ্রী দান করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে গুনাহ থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *