কেজিতে ১৪ টাকা বাড়ল চিনির দাম!

চাল ডাল তেলের পর এবার অস্থির চিনির বাজার। বিগত দুই মাস ধরেই বাজারে চিনির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক দোকানে চিনি পাওয়াই যাচ্ছে না। এমনকি ডিলার পর্যায়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত চিনি। এমন অবস্থায় দেশি চিনির দাম কেজিতে ১৪ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিল সরকার।আজ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন চিনির দাম বাড়ানোর এ ঘোষণা দেয়। এখন থেকেই বাজারে এ দাম কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে দেশি প্যাকেটজাত এক কেজি চিনির দাম ৮৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো বিক্রেতা এর থেকে বেশি দামে দেশি চিনি বিক্রি করতে পারবেন না। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন উৎপাদিত চিনি (এক্সমিল) প্রতি মেট্রিক টন মূল্য ছিল আগে ৭৪ হাজার টাকা। এখন দাম বাড়িয়ে প্রতি মেট্রিক টন চিনির মূল্য ৮৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ৮৫ টাকা। ডিলার পর্যায়ে প্রতি মেট্রিক টন চিনির মূল্য ৮৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম পড়বে ৮৭ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট মূল্য ৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায়। যা এক মাস আগে ছিল ৯০ থেকে ৯২ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলোতে উৎপাদন করে ৩০ হাজার মেট্রিক টন। অবশিষ্ট চিনি বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। গ্যাস সংকটের অজুহাতে বাজারে চিনির সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে মিল মালিকেরা। এতে এই পণ্যটির দাম ক্ষেত্র বিশেষে ১২০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি চিনির দাম আগে থেকেই ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামে বিক্রি করছেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *