৮ দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক সীমিত করল যুক্তরাষ্ট্র

আট দেশের ৪৯টি কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক সীমিত করছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের সময়ে বিভিন্ন

সামরিক সহায়তা দেওয়ায় এসব কোম্পানির রপ্তানি কার্যক্রমকে সীমিত করা হয়েছে। খবর রয়টার্স।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ এ নির্দেশনা ঘোষণা করেছে। তালিকায় চীনের ৪২টি কোম্পানি রয়েছে।

এছাড়াও ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ভারত, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্যের সাতটি কোম্পাটির উপর এ বিধি আরোপ

করা হয়েছে। মূলত রাশিয়াকে সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে সহায়তা করায় এ বিধি দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব কোম্পানির পণ্যের মধ্যে অন্যতম হলো মাইক্রোইলেক্ট্রনিকস। এটি রাশিয়া

ইউক্রেনের বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলায় নির্ভুল নির্দেশনা সিস্টেমের জন্য ব্যবহার করে থাকে।

বিবৃতিতে এক্সপোর্ট ইনফোর্সমেন্ট বিভাগের সহকারী সচিব ম্যাথিও অ্যাক্সেলরড বলেন, তালিকাভুক্ত এসব কোম্পানিকে স্পষ্টভাবে

জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, তারা যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রযুক্তি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগকে সরবরাহ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে

পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা এগুলো খুঁজে বের করব।
রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের ২০ মাস চলছে। এর মধ্যে

বৃহস্পতিবার যুদ্ধে নিহত এক ইউক্রেনীয় সেনার শেষকৃত্যে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে অন্তত ৫২ জন লোক নিহত হন,

যা রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ হামলা। এ হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র এমন নির্দেশনা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সাধারণত এ ধরনের নির্দেশনা কেবল তখন দেয়, যখন কোনো কোম্পানিকে তাদের জাতীয় নিরাপত্তা বা পররাষ্ট্রনীতির জন্য

হুমকি বলে মনে করে। এ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলো জাহাজে করে তাদের পণ্য রপ্তানির জন্য লাইসেন্স পেতে খুব কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

ব্যবসা সীমিত করার এ নির্দেশনার বিষয়ে ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাস তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র ১৪ চীনা এবং কানাডিয়ান কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এসব

কোম্পানিকে ভয়াবহ মাদক ফেন্টানাইল আমদানির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *