নানা জল্প’না-কল্পনার পর আ’গামী ৭ জানুয়ারি (রোব’বার) ভোট’ গ্রহণের তারিখ রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচ’নের তপশিল ঘো’ষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন’ (ইসি)। আজ বুধবা’র বিকেলে কমিশন সভা শেষে টে’লিভিশন ও বেতারে ‘জাতির উদ্দেশে ভাষণের
মাধ্যমে ত’পশিল ঘোষণা কর’বেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ‘কাজী হাবিবুল আ’উয়াল। এর আগে সকালে আনুষ্ঠানিক’ সংবাদ সম্মেলনে ‘নির্বাচনের সার্বিক প্রেক্ষাপট ও প্রস্তুতি’ তুলে ধরবে ইসি। ‘এরই মধ্যে কমিশন তপশিল ঘোষণার স’ব ধরনের প্রস্তু’তি সম্পন্ন করেছে। গতকাল
মঙ্গলবার এ’ক বৈঠকে জাতির’ উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের’ ভাষণের খসড়া ‘অনুমোদন করেছে কমিশন। সিইসি কা জী হাবিবুল আউ য়াল নিজে এই ভাষণ তৈরি করেছেন ব’লে জানা গেছে। সূ’ত্র জানায়, গত বছর দায়িত্ব গ্রহ’ণের পরপরই বর্ত’মান নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনস’হ সার্বিক কর্মপরি’কল্পনার খসড়া রোডম্যাপ তৈরি
করে। সে’খানে ২০২৪ সালে’র ৪ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে’র ভোট গ্রহণের স’ম্ভাব্য দিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। ওই তারিখটি ধরেই ইসি’র পরবর্তী কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়া হ’য়। প্রধান নির্বাচন ক’মিশনারসহ অন্য কমিশনা’ররাও ডিসেম্বরের শে’ষ সপ্তাহ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ‘ভোট এবং নভেম্ব’রের প্রথমার্ধে তপশিল হবে বলে
নানা সময় ‘বক্তব্য দিয়েছেন। ‘তবে ৪ জানুয়ারি একটি বৃহৎ ছাত্র সংগ’ঠনের প্রতিষ্ঠা’বার্ষিকী হওয়ায় ভোটের তারিখ এক’দিন এগিয়ে ৩ ‘জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। তবে প্রায় দেড় ‘বছরে পরিব’র্তিত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ‘পরিস্থিতি বিবে’চনায় নিয়ে ভোটের সেই তারিখ থেকে সরে আসে ক’মিশন। গ’ত ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির
সঙ্গে সাক্ষা’তের পর সিইসি’ প্রথমবারের মতো জানান, জানুয়ারির’ প্রথম সপ্তাহ’ অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট হতে পারে; কি’ন্তু শেষ পর্যন্ত জা”নুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন হ’তে যাচ্ছে। ৭ জা’নুয়ারিকে ভোটের চূড়ান্ত তারিখ রেখে তপশি’ল ঘোষণা করতে’ যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে জা”নতে চাইলে ই’সি সচিব মো. জাহাংগীর আলম ‘বলেছেন, ‘কমিশন স’ভা ও তপশিল ঘোষণা কমিশনে’র এখতিয়ার। বুধবা’র সকাল ১০টায় সংবাদ
সম্মেলনে’র মাধ্যমে এ ব্যা’পারে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।’ চলমান রা’জনৈতিক সংকট নি’রসনে বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে’ সংলাপের বসার তা’গিদ দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের” মধ্য ও দক্ষিণ এশি’য়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রম”ন্ত্রী ডোনাল্ড লুর চি’ঠি তপশিলে কোনো প্রভাব ফেলবে “না বলে এক প্রশ্নের’ জবাবে জানান তিনি। সূত্র জানায়, তপ’শিল ঘোষণার জন্য’ যত ধরনের প্রস্তুতি
দরকার, ‘তার সবই সেরে নিয়েছে’ নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে তপশি’ল ঘোষণার জন্য’ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সম্মতি’ও নিয়ে রেখেছেন তারা।’ সূত্র আরও জানায়, দ্বাদশ জাতীয় ‘নির্বাচনের তপশিল ও’ ভোটের তারিখ নিয়ে ব্যাপক “গোপনীয়তা রক্ষা করা হ’চ্ছে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ত’থ্য সিইসি ও অন্য চার কমিশ’নার এবং কোনো কো’নো ক্ষেত্রে ইসি সচিব’ ছাড়া অন্য কাউকে
জানানো” হচ্ছে না। এমনকি ইসি”র সিনিয়র কর্মকর্তারাও অনেক “বিষয় জানতে পারছেন” না। তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত “করার জন্যই গতকাল” সন্ধ্যা পর্যন্ত তপশিল অনুমোদ”নের সভা ডাকা হয়নি। “আজ সকাল ১০টার পরই কমিশন’ সভা আহ্বান করা হবে”। দুপুরের পর যে কোনো সময় স”ভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সে’খানে তপশিল অনুমোদন
করা হ”বে। এর পরই সিইসি কা”জী হাবিবুল আউয়াল জাতির উ”দ্দেশে ভাষণ দেবেন। ‘সেজন্য তপশিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে”ই ব্যস্ত সময় পার কর”ছে কমিশন। এখন নিজেদের “মধ্যে অনানুষ্ঠানিক নানা” আলোচনায় ব্যস্ত সময় পার ক”রছেন সিইসিসহ অন্য ক”মিশনাররা। জানা গেছে, তপশিল” ঘোষণা না হলেও এরই” মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের সব ধর”নের প্রস্তুতি সম্পন্ন ক”রেছে নির্বাচন কমিশন।
সাংবিধানিক” বাধ্যবাধকতার জন্য” ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি”র আগের ৯০ দিনের “মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে নির্বাচন “কমিশনকে। এ কারণে”ই রাজনৈতিক দলগুলোর নানামুখী” অবস্থান সত্ত্বেও নি”র্বাচন আয়োজন ছাড়া কমিশ”নের কাছে ভিন্ন কোনো” পথ নেই। সম্প্রতি রাজনৈতি”ক দলগুলোর সঙ্গে সং”লাপে বর্তমান পরিস্থিতি নির্বাচনে”র সম্পূর্ণ অনুকূল না “হলেও কিছু করার নেই
বলে মন্ত”ব্য করেন সিইসি নি”জেই। চলমান রাজনৈতিক সংকট নি”রসনের সামর্থ্য ও ম্যা”ন্ডেট কোনোটাই কমিশনের নেই উল্লেখ” করে তিনি বলেন, ‘”দলগুলোকেই নিজেদের মধ্যে আলো”চনা করে সংকটের স”মাধান করে অনুকূল পরিবেশ” তৈরি করতে হবে।’ সাংবি”ধানিক বাধ্যবাধকতা
তুলে ধরে “তিনি আরও বলেন, ‘নি”র্বাচনের পরিস্থিতি সবসময় শ”তভাগ অনুকূলে থাকে “না। তবু সাংবিধানিক দায়িত্ব ও শ”পথের কারণে নির্বাচন” কমিশনকে ভোট আয়োজন ক””রতে হবে।’ ইসি ঘোষি”ত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ভো”টের প্রস্তু”তি হিসেবে এরই মধ্যে “ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ভোটা”র সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার
৬৩৩ জন। নির্বাচন “সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনি কাঠামোতে বেশ কিছু “সংস্কার করা হয়েছে। সংসদীয় আসনের পুনর্বিন্যা”সে”র কাজ শেষ হয়েছে। নতুন দলের নিবন্ধনের কাজও “শেষ হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এতে” ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। আর” ভোটকক্ষের সংখ্যা ২
লাখ ৬১ হাজার ৯১৪টিতে দাঁ”ড়িয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষার কাজ শেষ হ”য়েছে। ভোট-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ আরও কিছু “কাজ চলমান রয়েছে। তপশিল ঘোষণার পর ভোটকেন্দ্রের “চূড়ান্ত তালিকা, আসনওয়ারি ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত ও” ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ঠিক করার
“কাজ চলছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পর্যবেক্ষ”ক নিবন্ধন প্রাথমিক ধাপ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আর”ও কিছু পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া চ”লছে। চূড়ান্ত হয়েছে বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা”ও। সংবাদ সংগ্রহে মোটরসাইকেলের অনুমতি দিয়ে সাংবাদিক “নীতিমালাও সংশোধন করা হয়েছে। ইসি সূত্র
জানায়, এ”বার নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন ৯ লাখের বেশি সরকারি-বেস”রকারি কর্মকর্তা। নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা, নির্বাচনে বিভি”ন্ন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের ভাতা ও আইনশৃঙ্খলা “রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভাতা মিলিয়ে প্রায় ১ হাজা”র ৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে। এর “বাইরে নির্বাচনী প্রশিক্ষণে খরচ হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা”র বেশি। সূত্র জানায়, গত একাদশ
সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র” বাহিনীর সদস্য মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলে”ন মোট ৬ লাখ ৮ হাজার সদস্য। নির্বাচনের সময় আইনশৃ”ঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কো”স্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। এ”র মধ্যে ভোটকেন্দ্রে থাকেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। “ভোটকেন্দ্রের বাইরে থাকে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগা”র্ডের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।
তবে এবার সশস্ত্র বাহিনী “মোতায়েন করা হবে কি না, এখনো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়”নি। প্রার্থীদের মনোয়নপত্র দাখিলে যে কোনো জটিলতা এ”ড়াতে এবারের নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া”র ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলা”ইনে জামানতের টাকা পরিশোধের সুযোগও থাকছে। অন্য”দিকে ভোটকেন্দ্রের
নাম ও ভোটার নম্বর খুঁজে পাওয়ার ভোগা”ন্তি কমাতে ‘বাংলাদেশ ইলেকশন অ্যাপ’ নামে একটি “অ্যাপ তৈরি করছে কমিশন। এই অ্যাপে ভোটারের ত”থ্যের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের জন্য রিটার্নিং “কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলি”শ সুপার (এসপি) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ও”সি)
নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের পরিচ”য় ও ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।