হামাসের পেছনের শক্তি কারা?

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন করে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতদিন সাধারণত ইসরায়েলি হামলার,

 

 

 

প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা হামলা চালালেও এবার সরাসরি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা করে সংগঠনটি। প্রতিবাদে ইসরায়েলও পাল্টা হামলা শুরু করে।

 

 

 

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক মানুষ। সবার প্রশ্ন, হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে কারা?

 

যুদ্ধের ভেতর মিসরকে যে প্রস্তাব দিল ইসরায়েল

 

সাবেক মার্কিনগোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, হামাসের হামলার প্রাথমিক কারণ ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে আলোচনাকে ব্যাহত করা।

 

 

 

ন্যাটোর সাবেক কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল জেমস স্ট্যাভরিডিস বলেন, এই হামলার মাধ্যমে ‘তাদের অদম্য শত্রু ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে’ চাইছে।

 

 

 

হামাসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েলে হামলা করার পেছনে তাদের সহযোগী ইরানের সহায়তা রয়েছে। তবে আকস্মিক এই হামলার পেছনে কী কারণ রয়েছে,

 

 

 

তা বিস্তারিতভাবে জানায়নি হামাস। গোষ্ঠীটির কমান্ডার মোহাম্মেদ দেইফ বলেছেন, তাদের সেনারা মনে করেছে ‘যথেষ্ট হয়েছে, আর না’।

 

 

এইদিকে বিশ্বে হামাসের সমর্থক কম নয়। ইরান, সিরিয়া, লেবাননের ইসলামপন্থী দল হিজবুল্লাহ ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের,

 

 

 

অন্যান্য দেশে হামাসের সমর্থক রয়েছে। এরা সবাই এই অঞ্চলে মার্কিন নীতির বিরোধিতা করে আসছে।

 

 

 

হামাসের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। ২০১২ সালে প্রথম রাষ্ট্রনেতা হিসেবে হামাসের সঙ্গে বৈঠক,

 

 

করেন কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি। এ পর্যন্ত হামাসকে প্রায় ২০০ কোটি ডলার অর্থায়ন করেছে দেশটি। কাতার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে।

 

 

 

 

হামাসের আরেক পৃষ্ঠপোষক তুরস্ক। ফিলিস্তিনের অনান্য গোষ্ঠীগুলোও হামাসকে অস্ত্র সহায়তা দেয়। সুদান এবং মিশরের মাধ্যমেও গাজায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাচার হয়ে থাকে।

 

 

 

 

হামাসকে ক্ষেপণাস্ত্রসহ সমরাস্ত্র প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করে ইরান। গতকাল হামলার পর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গতকাল হামাসের হামলা ‘দখলকারীদের মুখে ফিলিস্তিনি জনগণের আস্থার’ প্রমাণ।

 

 

 

 

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির উপদেষ্টা রহিম সাফাভি বলেছেন, আমরা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের অভিনন্দন জানাই, যতক্ষণ ফিলিস্তিন ও জেরুজালেমের স্বাধীনতা না

 

 

 

 

আসে আমরা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের পাশে থাকবো। সিরিয়া এবং ইয়েমেন হামাসকে ‘গর্বিত’ এবং ‘বীরত্বপূর্ণ’ আখ্যায়িত করে হামলায় সমর্থন দিয়েছে।

 

 

 

 

 

বিশ্বব্যাপী ইসরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, মিশর এবং জাপান হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

 

 

 

 

 

যুক্তরাষ্ট্র শুরুতে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে দুই পক্ষকেই সহিংসতা বন্ধের আহবান জানায়। পরবর্তীকালে এক বিবৃতিতে দেশটির ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন বলেন,

 

 

 

 

ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন,

 

 

 

 

আমি ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর হামাস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলার খবরে মর্মাহত। ইসরায়েলের তাদের নিজেদের রক্ষা করার সবরকম অধিকার আছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আমি ইসরায়েলের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতি আমার পূর্ণ সমবেদনা জানাই।

 

 

যুদ্ধের ভেতর মিসরকে যে প্রস্তাব দিল ইসরায়েল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *