হঠাৎ নির্বাচন কমিশনে পিটার হাস

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে হঠাৎ করেই আসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নিজ কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়। প্রধান নিবার্চন কমিশনারের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।জানা গেছে, বৈঠকে নিবার্চন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত রয়েছেন।এর আগে চলতি বছরের ১ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।ওই বৈঠক শেষে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। যে সংকট বিরাজ করছে তা রাজনৈতিক। এর সঙ্গে আমাদের কাজের

 

 

কোনো সংঘাত নেই। কিন্তু এ সমস্যাগুলো যদি রাজনৈতিকভাবে সমাধান হয়ে যায়, তাহলে আমাদের জন্য নির্বাচন আয়োজন অনেক কমফোর্টেবল হবে।ওই সময় তিনি জানান, কমিশন প্রত্যাশা করে, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে কতগুলো বিষয় প্রকটভাবে রয়েছে, সেগুলো যেকোনো মূল্যে সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। একটা স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক। যে স্থিতিশীল পরিবেশে আগামী নির্বাচন হবে।ওই বৈঠক শেষে পিটার হাস বলেছিলেন, আমি সিইসিকে জানিয়েছি, অক্টোবরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রি-অ্যাসেসমেন্ট প্রি-ইলেকশন মনিটরিং টিম পাঠাবে। এ বিশেষজ্ঞ টিমে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিক ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। যাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তুতি নিয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে। অবাধ, সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ রয়েছে। এছাড়া,

 

 

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে আরপিওর সর্বশেষ সংশোধন, নতুন দল নিবন্ধনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।এদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এক্ষেত্রে সরকারবিরোধীরা নির্বাচনে এলে একরকম প্রস্তুতি এবং না এলে আরেকরকম প্রস্তুতি রয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও র‌্যাব ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ভিডিপি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তি ও প্রতিনিধির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এক সভায় বাহিনীর পক্ষ থেকে এমন আশ্বাস দেওয়া হয় বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল

 

 

আউয়ালের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ গ্রহণ, মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে প্রতীক বরাদ্দ পর্যন্ত কার্যক্রম সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পাদন, সারা দেশ থেকে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি অপসারণ, বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, নির্বাচন-পূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী সম্ভাব্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে করণীয় নির্ধারণ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনী দ্রব্যাদি পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিতরণে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, অঞ্চল ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা

 

 

নিশ্চিতকরণ, রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার বাসস্থানের ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা জোরদারকরণ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচনী তদন্ত কমিটির দায়িত্ব পালনকালে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স নিয়োজিতকরণ, নির্বাচনী আইন, বিধিবিধান প্রতিপালনে করণীয় নির্ধারণ, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পরামর্শের আলোকে শান্তিশৃঙ্খলা কার্যক্রম গ্রহণ, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা প্রণয়ন, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকাণ্ডে সমন্বয় সাধন এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করা হয়সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট হতে হবে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার বিরোধী জোটের অংশগ্রহণে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও

 

 

নির্বাচন কমিশন জানুয়ারির শুরুতে ভোটের আয়োজন করতে চায়। নভেম্বরের প্রথমার্ধের যে কোনো সময় তপশিল ঘোষণা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *