ভিডিও নিচে
ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে নতুন অস্ত্র ব্যবহার শুরু করেছে ফিলিস্তিনি গ্রুপ আল কাসেম ব্রিগেড।
সোমবার গাজা থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন আলজাজিরার প্রতিনিধি জামিলেহ আবু জানুনা। আল জাজিরা জানায়,
ফিলিস্তিনি গ্রুপ আল কাসেম ব্রিগেড এ নতুন অস্ত্র ব্যবহার করছে।
সোমবার আল জাজিরার প্রতিনিধি জামিলেহ আবু জানুনা আরও জানান, আল কাসেম ব্রিগেডের ভাষ্যমতে গাজাতেই এ অস্ত্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।
এগুলোই এখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। নতুন এ অস্ত্রগুলো কাঁধে বহনকারী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সংশ্লিষ্ট যা দিয়ে ইসরায়েলের আকাশপথে করা হামলার প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে।
আল কাসেম ব্রিগেডের প্রকাশ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, তাদের যোদ্ধারা তাদের লক্ষ্যবস্তুতে গুলি চালাচ্ছে এবং সেখানে আঘাত করতে সক্ষম হচ্ছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো এখন তাদের ‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে’।
গাজা উপত্যকায় ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। এবারের অবরোধের ফলে ২০ লাখের বেশি মানুষের এই অঞ্চলে সব ধরনের খাদ্য,
পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি। আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক আলজাজিরা।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সোমবার বলেছেন, হামাস পরিচালিত গাজায় ‘সম্পূর্ণ অবরোধের’ অংশ হিসেবে তারা সব বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছে। একই সঙ্গে খাদ্য ও গ্যাস সরবরাহও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করছি। বিদ্যুৎ, খাবার, পানি, গ্যাস—সবই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
১৪০ মাইলের গাজায় প্রায় ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বসবাস করে। ২০০৭ সাল থেকেই বিভিন্নভাবে গাজায় স্থল, আকাশ ও নৌপথে অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল।
ফলে বিশ্ব থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন উপত্যকাটি। যদিও গাজার দক্ষিণ সীমান্ত ক্রসিং রাফাহ নিয়ন্ত্রণ করে মিসর। এ কারণে গাজায় কে কিংবা কী ঢুকবে সেটি পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এই দুই দেশ।