স্ত্রীর পর আমার মেয়েটাও মারা গেছে

কয়েক দিন ‘ধরেই আমার স্ত্রী ব’লেছিল তার শরীর অনেক খারাপ, গায়ে জ্ব’র। এর মাঝে আমার’ মেয়েটাও অসুস্থ হয়। আমার মে’য়েকে নাপা ট্যাবলেট ‘খাওয়ানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও সুস্থ না’ হলে প্রাইভেটভা’বে ডাক্তার

দেখানো হ’য়। তারা দশমিনা ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে বলে। সেখা’নে ভর্তির পর স্বাস্থ্যে’র উন্নতি না হলে বরিশাল শেরেবাংলা মে’ডিকেল কলেজ ‘হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ‘আমার স্ত্রী ও মেয়ে’ দুজনই চিকিৎসাধীন

ছিল। আমি’ ঢাকায় ছিলাম। ‘মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার দি’কে আমার স্ত্রী মারা’ যায় এরপর বুধবার (৭ নভেম্বর) মেয়ে’ও মারা যায়।কথা’গুলো বলছিলেন পটুয়াখালীর দশ’মিনা উপজেলা’র বহরমপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়া’র্ডের নেহালগঞ্জ গ্রা’মের দিনমজুর সিরাজুল

ইসলাম।তিনি ‘ বলেন, ‘মঙ্গলবার ‘স্ত্রীর মরদেহ বাড়িতে এনে বুধবার ভো’র ৪টার দিকে শুনি’ হাসপাতালে আমার মেয়েটাও ‘মারা গেছে। তারপর তা’দের এক সঙ্গে পারিবারিক ক’বরস্থানে দাফ’ন করা হয়। আমি আল্লাহর কাছে বলি ‘এ রকম যে কা’রো সঙ্গে না হয়।

বরিশাল শেরেবাংলা ‘মেডিকেল কলে’জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দি’নমজুর সিরা’জুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া বে’গম (১২) এবং এ’র আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্ত্রী সালমা’ বেগমের (৪০) মৃত্যু হয়।’এ বিষয়ে দশমিনা হাসপাতালে’র স্বাস্থ্য ও পরিবার

‘পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজু’র রহমান জানান, এই রোগীরা যখন এখানে ভর্তি হন, ‘তখনই বেশি আক্রা’ন্ত ছিলেন। গ্রামের মানুষ হওয়ায় কম’ সচেতন ছিলেন। তা’রা স্থানীয়ভাবে জ্বরের চিকিৎসা চা’লিয়েছেন।

এখানে ‘যখন আসেন, তখন তাদের অবস্থা ‘মোটেও ভালো ছিল না।’ এ জন্য তাদের বরিশালে রেফার ক’রা হয়। তারা দুজ’নেই মারা গেছেন বলে খবর এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *