সাকিবের মন্তব্যের পর নাফীসের জবাব

বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন ভারতে। তবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশনের চেয়েও বড় হয়ে ধরা দিয়েছে বিশ্বকাপ দলে দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের না থাকা। নিজের না থাকার কারণও জানিয়েছেন তামিম। তামিমের না থাকার পেছনে অনেকেই দেখছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিবের হাত। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন। অনেক প্রসঙ্গের সেই সাক্ষাৎকারে উঠে আসে টিম ম্যানেজার নাফীস ইকবালের দল ছেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গও। এবার সাকিবের করা মন্তব্যের জবাব দিলেন নাফীস ইকবাল।

বেসরকারি এক টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, “যদি আসলেই সে (নাফীস ইকবাল) খেলার মাঝখান থেকে চলে যায়, খুবই আনপ্রফেশনাল। উনার দিক থেকেও, বিসিবির দিক থেকেও। আমি এটা চিন্তাই করতে পারি না যে, একটা ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ চলছে আর মাঝখান থেকে একজন চলে গেল। এটা কীভাবে হয় আমার কোনো আইডিয়া নাই… যদি আসলেই এটা হয়, তবে বিসিবি যে একটা ভুল ডিসিশন ( নাফীসকে টিম ম্যানেজার নিয়োগ দেওয়া ) নিয়েছিল তার একটা প্রমাণ এটা।”

সাক্ষাৎকারে সাকিবের এই মন্তেব্যের পর নাফীস ইকবালও বসে থাকেননি। তিনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নিজের অবস্থান ব্যাখা করেন। নাফীস ফেসবুকে লিখেন, “আমি স্পষ্ট করতে চাই যে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওডিআইয়ের সময় জাতীয় দল ছাড়ার আমার পদক্ষেপটি আবেগের বাইরে ছিল৷ কারণ ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ওডিআইয়ের দিন সকালে আমাকে জানানো হয়েছিল যে আমি বিশ্বকাপে দলের সাথে টিম ম্যানেজার হিসেবে থাকব না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। আমিও মানুষ এবং অন্য সবার মতো আমারো আত্মসম্মান আছে । আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং আমার ছোট ভাই তামিম ইকবালের চলমান পরিস্থিতির সাথে আমার এই পদক্ষেপের কোনও সম্পর্ক ছিল না। আমার মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার ৬/৭ ঘণ্টা পর বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হয়। আমি সেদিন বোর্ডের সাথে প্রটোকল এবং আচরণবিধি পুরোপুরি বজায় রেখেছি। মাঠে নামার আগে প্রধান কোচ এবং পরে বিসিবির সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার সঙ্গে আমার মতামত জানিয়েছিলাম। আমি প্লেয়ার লিস্টে নিয়মমাফিক স্বাক্ষর করেছিলাম, নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য অ্যাকাউন্টস বিভাগে কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়া। বিশ্বকাপের জন্য আমাকে দেওয়া দৈনিক ভাতা ফেরত দেওয়াসহ কোনও কাজ অর্ধেক করে যাইনি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে পরিস্থিতিগুলো কিছু সম্মানের যোগ্য এবং কেউ ঘটনাগুলো না জেনে তার মতামত দিতে পারে না। আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সৎ ছিলাম এবং এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পরিচালনার অংশ হিসেবে আমি আমার সেরা আউটপুট দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি এবং তাই করে যাব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *