মিরপুরে বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে ৪ জনের মৃ’ত্যু

রাজধানীর মিরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ মিরপুরও পানিতে ডুবে যায়। পানিত বিদ্যুতের তার পড়তে থাকলে তা স্পৃষ্ট হয়ে ওই জনের মৃত্যু হয়ে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মিরপুর-১ নম্বর এলাকায় রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে চার জন মারা গেছেন। বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।

স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, একটি পিকআপে করে কয়েকজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। নিহতের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীতে টানা চার ঘণ্টার অধিক বৃষ্টি হয়। বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। ফলে অনেকে অফিস শেষ করে বাসায় ফিরতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ঢাকায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবারও রাজধানীতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে টানা বৃষ্টিপাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থই থই পানি। অনেক রাস্তা তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঘরমুখী অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক স্থানে আটকে থাকার কথা জানিয়েছেন। অনেকেই ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তাঁদের ভোগান্তির কথা। এমনকি বৃষ্টির কারণে কর্মস্থল থেকে অনেকে সময়মতো বের হতে পারেননি। মিরপুর ১০ নাম্বারে প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে কোমর পানি। প্রধান সড়কে চলাচল করা ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতরেও পানি ঢুকে গেছে। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে অনেক সিএনজি বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তাতেই। এদিকে সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে সৃষ্ট যানজটে দীর্ঘসময় আটকা পড়েন অনেকে। এছাড়া, মিরপুর এলাকার ভেতরের সড়কগুলোতেও হাঁটু পানি।

মিরপুর-১২ নম্বরের প্যারিস রোড, ঝুটপট্টি, রূপনগর, পল্লবীসহ বেশ কয়েকটি স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে ঝাড়খন্ড এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু উত্তরাংশে সক্রিয় এবং বাংলাদেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *