মামুনের সঙ্গে বিয়েতে মত ছিল না এডিসি সানজিদার!

পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদের সঙ্গে ডিএমপির অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন নিপার বিয়ে নিয়ে গুঞ্জন চাউর হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ওই ছবিটি এডিট করা। সেটি হারুন-সানজিদার বিয়ের ছবি নয়।

  • অভিনেত্রী চমকের ভিডিও ভাইরাল!
  • সানজিদার পরিবার বলছে, হারুনের সঙ্গে সানজিদার সম্পর্ক নেই। তাদের বিয়ে হয়নি। পুলিশে চাকরি করেন বিধায় তারা সহকর্মী। সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন। তার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন পুলিশের এই কর্মকর্তা। তবে এই বিয়েতে সানজিদার সায় ছিল না বলে জানা গেছে।

    সানজিদার পারিবারিক সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের বিলডগা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত এম হোসেন আলীর সন্তান সানজিদা আফরিন নিপা। তার বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পরবর্তী সময়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। পাশাপাশি তিনি উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়ন পরিষদের সাতবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হোসেন আলী দীর্ঘদিন গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। তার চার মেয়ের মধ্যে সানজিদা আফরিন নিপা তৃতীয়। বড় মেয়ে সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। দ্বিতীয় মেয়ে একজন চিকিৎসক। ছোট মেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা।

    সানজিদার বড় বোন হোসনে আরা কামনা জানান, এডিসি হারুনের সঙ্গে সানজিদা ছাড়াছাড়ি হওয়ার তথ্য মিথ্যা। কারণ তাদের বিয়েই হয়নি।

    তিনি বলেন, সানজিদার বিয়ে হয়েছে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে। এডিসি হারুন তার কলিগ (সহকর্মী) মাত্র। তার সঙ্গে সানজিদার বিয়ে হয়নি। বিয়ে না হলে তো ছাড়াছাড়িরও প্রশ্ন নেই। সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই অপপ্রচারে তারা বিব্রতবোধ করছেন বলে তিনি জানান।

    পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসাবে কর্মরত। সানজিদা ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। ২০১৬ সালের ৫ মে থেকে ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে ছিলেন তিনি। এরপর ২০২১ সালের ৬ মে থেকে ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত গাজীপুর সদর সার্কেলে এএসপি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি ডিএমপিতে যোগ দেন।

  • আর্জেন্টিনাকে ৭ গোলে বিধ্বস্ত করল মরক্কো
  • সানজিদার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০১৭ সালের ১০ মার্চ গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সানজিদার বিয়ে হয়। তবে এই বিয়েতে সানজিদার তেমন সম্মতি ছিল না। এ কারণে বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। সানজিদা দীর্ঘদিন তার স্বামীর জেলা গাজীপুরে এএসপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

    আজিজুল হক মামুনের সঙ্গে সানজিদার বিয়ের বিষয়ে নগদা শিমলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (বিয়ের কাজী) শামছুল হক বলেন, ২০১৭ সালের ১০ মার্চ পারিবারিকভাবে ঘটা করে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *