ছিনতাইকারির হামলায় আহত রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী নিশাদ আকরাম (২৪) মারা গেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ দিন পর মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ভোরে তার মৃত্যু হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ছিনতাইকারীর হামলায় রিকশা থেকে পড়ে নিশাদের মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল। ঘটনার পর থেকে তিনি অচেতন অবস্থায় রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভোরে ছিনতাইকারীদের হামলায় তিনি মাথায় আঘাত পান। এরপর থেকেই তিনি রামেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিহত শিক্ষার্থীর বাড়ি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার আড্ডা গ্রামে। বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, নিহত ওই শিক্ষার্থী রাজশাহী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পরপরই তার চাচাতো ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ মো. সেলিম (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। হামলার সঙ্গে জড়িত অন্যজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিশাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তার সেলিমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সেলিম ওই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সেলিমের নামে আগে থেকেই আটটি মামলা ছিল। সে পেশাদার ছিনতাইকারী।
মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নিশাদের মরদেহ রামেকের মর্গে নেয়া হয়। রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. আব্দুল খালেক সেখানেই ছিলেন। তিনি বলেন, রাজশাহীতে প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থীর বসবাস। নানা প্রয়োজনে তারা যে কোনো সময় রাস্তায় বের হন। এ সময় মাঝে মাঝেই তারা ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ইদানিং ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে, এটি কাম্য নয়। ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে একজন শিক্ষার্থী মারা যাবেন এটা মেনে নেয়া যায় না। এটি মেনে নেয়ার মতো না। এটি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।