বিএনপি নেতাকে কারাগারে নেওয়ায় ‘আ.লীগ নেতার’ প্রতিবাদ

হবিগঞ্জে পুলিশের এসল্ট মামলায় কারাগারে রয়েছেন মাধবপুর উপজেলার বিএনপি নেতা মো. মহিব উল্লাহ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পোস্ট করেছেন।

 

 

 

 

 

জগদীশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদ খান। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে উপজেলা জুড়ে।

 

 

 

 

 

জানা গেছে, বিএনপি নেতা মো. মহিব উল্লাহ জগদীশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া তিনি মাধবপুর উপজেলা যুবদলের সভাপতি এনায়েত উল্লার বড় ভাই।

 

 

 

স্থানীয়রা জানান, গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী আহত ও হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।

 

 

 

 

এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ বিস্ফোরক ও পুলিশ এসল্ট দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১ হাজার জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত ৮ অক্টোবর বিএনপি নেতা মহিব উল্লাহ হবিগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

 

 

 

এদিকে এই ঘটনার পর মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রতিবাদ করে পোস্ট করেন।

 

 

 

 

ফেসবুকে তিনি লিখেন, ‘অপরাধীর বিচার হোক। তবে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পান, সেদিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজর দেওয়া উচিত।

 

 

 

মহিব উল্লাহ ভাই হবিগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে যে মামলা হয়েছে এর সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। তার জামিন এবং ওই মামলার দায় থেকে অব্যাহতি কামনা করছি।’

 

 

 

এদিকে ফেসবুক তার এই প্রতিক্রিয়া মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পরে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

 

 

 

এ বিষয়ে মাসুদ খান বলেন, মহিব উল্লাহ কোনো দল করেন না। আমার জানা মতে তিনি একটি মসজিদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

 

 

 

তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় মহিব উল্লাহ হবিগঞ্জে ছিলেন না। হয়তো ভুল করে তার নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রতিবাদ করেছি। তিনি নির্দলীয় লোক।

 

 

 

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান জানান, ‘মাসুদ খান দলের কেউ না। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারণে তাকে দলীয় পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল।

 

 

 

যদিও তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের কোনো পদে থাকতেন তাহলে আমি তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম। যেহেতু তিনি দলের কেউ না তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি না। তবে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।’

 

 

 

এদিকে আতিকুর রহমানের এই বক্তেব্যে মাসুদ খান বলেন, ‘আমি দলীয় পদে আছি নাকি নেই, এটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভালো করেই জানেন।’

 

 

 

এ ব্যাপরে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাহির বলেন, বিষয়টি এখনো আমি জানি না। উপজেলার সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফিলিস্তিনের পক্ষে সৈন্য পাঠাবেন রমজান কাদিরভ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *