বিএনপি নির্বাচনে না এলে যা ভাবছে জাপা

আগামী জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান কী হবে সেটা এখনই খোলাসা করবে না জাতীয় পার্টি। নির্বাচন সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে তাগিদ; তাতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেবে দলটি।

রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং এমপিদের যৌথ সভায় এসব মত উঠে এসেছে।

জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে চার ঘণ্টার এ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে– জাপা যেভাবে আছে, নির্বাচনের তফশিল পর্যন্ত সেভাবেই থাকবে। বক্তৃতা-বিবৃতিতে সরকারের সমালোচনা করলেও আওয়ামী

লীগের বিরুদ্ধে যাওয়া যাবে না। আলোচনায় থাকতে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মিসভা করবে দলটি।


৫১ প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ৩৮ এমপি অংশ নেন এই সভায়। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং তার ছেলে রংপুর-৩ আসনের এমপি রাহগীর আল মাহি এরশাদ সাদকে আমন্ত্রণ ।
।।

জানানো হলেও সভায় অংশ নেননি তারা। বাকি ১১ জন অসুস্থতা, ব্যস্ততা এবং বিদেশে থাকায় আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন জাপা নেতারা।

সভা সূত্র জানিয়েছে, তাদের সবাই এক বাক্যে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভূমিকা কী হবে– তা নির্ধারণের পরিবেশ ও সময় হয়নি।

এ বিষয়ে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা– এ সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। ভোটের এখনো তিন মাস বাকি। জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক পরিস্থিতি

পর্যবেক্ষণ করছে। নির্বাচনে অংশ নিলে কারও সঙ্গে জোট হবে কিনা– এ সিদ্ধান্তও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর নেওয়া হবে।

জাপা সূত্র জানিয়েছে, দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা সভায় বলেছেন, আওয়ামী লীগের অবস্থান এখনও

সুদৃঢ়। বিদ্যমান ব্যবস্থায় অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে সরকার অনড় রয়েছে। বিএনপির আন্দোলন সরকারকে টলাতে পারেনি।

সভায় জাপার একাধিক এমপি জানান, জাতীয় পার্টির বিকল্প চিন্তা করার সুযোগ নেই। রাজনীতিতে টিকে থাকতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকা উচিত। নইলে আগামী সংসদে জায়গা হারাতে হবে।

এমপি নন এমন এক প্রেসিডিয়াম সদস্য সভায় বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিএনপিহীন নির্বাচনে জাপার সুযোগ ছিল ৭০।

থেকে ৮০টি আসন পাওয়ার। কিন্তু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণে মাত্র ৩৪টি আসন পাওয়া গিয়েছিল। আগামী নির্বাচন

বিএনপি বর্জন করলে ২০১৪ সালের মতো ভুল করা যাবে না। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ ২৬ আসন ছেড়েছিল। বিএনপি

নির্বাচনে না এলে জাপার সুযোগ রয়েছে আসন বাড়িয়ে নেওয়ার। এ সুযোগ কাজে লাগানো উচিত।

সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আরও কথা বলেন কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম

সদস্য আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপুসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *