বিএনপির সঙ্গে ঐক্যের প্রশ্নে চরমোনাই পীরের ব্যাখ্যা

রাজধানীসহ সারা দেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে সরব রয়েছে বিএনপি। মহাসমাবেশ, হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে মাঠে রয়েছে দলটি। বিএনপির সঙ্গে অন্যান্য শরিকদলগুলো থাকলেও দেখা যায়নি ইসলামী আন্দোলনকে। এ অবস্থায় বিএনপির সঙ্গে দলটির ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন হাজির হন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম।সেখানে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- বেশ কয়েকদিন ধরেই বিরোধীদলগুলো আবরোধ হরতাল পালন করছে সেখানে

 

 

আপনাদের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি। এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়জুল করিম বলেন, নিরপেক্ষ, নির্দলীয় ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আমরা যোগদান করিনি। আমাদের দাবির ওপরে সবার ঐকমত্য আছে কিন্তু কর্মসূচিতে আমরা সবাই ঐকমত্য পোষণ করি নাই। তাই অন্যদলের সঙ্গে আঁতাত করার প্রশ্ন উঠতে পারেন। ভবিষ্যৎ একসঙ্গে কর্মসূচি হবে কি হবে না সেটা এখন বলা যাবে না, সময় বলে দেবে।এদিকে সংবাদ সম্মেলনে সর্বকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

 

 

তিনি বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (৩ নভেম্বর) যে মহাসমাবেশ হবে সেখান থেকে ইসলামী আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।কী ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে জানতে চাইলে ফয়জুল করিম বলেন, পরিস্থিতির আলোকে সেটা আমরা আগামীকাল মহাসমাবেশে জানিয়ে দেব।সমাবেশ কত লোক হতে পারে জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলনের এ নেতা বলেন, সংখ্যা তো আর বলা যাবে না তবে আশা করি সর্বকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ হবে। এই মহাসমাবেশ কোনো দলের নয়, এটি সব জনগণের।মহাসমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য কি কি

 

 

পদক্ষেপ নিয়েছেন সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র মুফতি বলেন, মহাসমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য আমরা ইতোমধ্যে জেলায়, থানায় সফর করেছি, পোস্টার, লিফলেট, দাওয়াতি ব্যবস্থা, স্পর্শকাতর এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া, মাইকিং, অনলাইনভিত্তিক প্রচার, ব্যক্তির কাছে আমরা দাওয়াতি কার্যক্রম করেছি। অর্থাৎ সমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য আগে যা যা করা দরকার আমরা সবই গ্রহণ করেছি।মহাসমাবেশ ঘিরে কোনো শঙ্কা দেখছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়জুল করিম বলেন, কিছু কিছু জায়গায় আমাদের

 

 

নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হুমকিও দিচ্ছে। যতক্ষণ মহাসমাবেশ না হচ্ছে ততক্ষণ আমরা শঙ্কামুক্ত নই। কারণ, সরকার কখন কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটা তো জানা যায় না।মহাসমাবেশ কখন শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের মহাসমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ১০টার দিকে শুরু হবে, তবে মনে হয় ফজরের নামাজের পরেই সবাই চলে আসবে।নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে রেজাউল করিম বলেন, আমরা তো বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল চাই, তার সঙ্গে কিসের সংলাপ। এই নির্বাচন কমিশন তো মানুষের মৃত্যু

 

 

কামনা করে। যারা মানুষের মৃত্যু কামনা করে তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ। আমরা বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করার জন্যই এই মহাসমাবেশের আয়োজন করেছি।বেশ কয়েকদিন ধরেই বিরোধীদলগুলো আবরোধ হরতাল পালন করছে সেখানে আপনাদের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ, নির্দলীয় ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আমরা যোগদান করিনি। আমাদের দাবির ওপরে সবার ঐকমত্য আছে কিন্তু কর্মসূচিতে আমরা সবাই ঐকমত্য পোষণ করি নাই।

 

 

তাই অন্যদলের সঙ্গে আঁতাত করার প্রশ্ন উঠতে পারেন। ভবিষ্যৎ একসঙ্গে কর্মসূচি হবে কি হবে না সেটা এখন বলা যাবে না, সময় বলে দেবে।নির্বাচন কমিশন আপনাদের সংলাপের জন্য ডাকলে যাবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামী আন্দোলন এই কমিশনের সঙ্গে কোনো সংলাপে যাবে না।বিএনপি তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে আর আপনারা বলছেন জাতীয় সরকারের কথা, এই জাতীয় সরকারের রূপরেখা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সরকার হবে। তারাই নির্ধারণ

 

 

করবে সরকারপ্রধান কে হবেন।পুলিশের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, যারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছেন তাদের কাজ হলো জনগণের নিরাপত্তা প্রদান করা। তাই আমি রাষ্ট্রপক্ষের সবাইকে বলব জনগণের বন্ধু কোনো দলের নয়, জনগণকে ভালোবাসেন কোনো দলকে নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *