বর আসার আগেই কনের বাড়িতে হাজির ভ্রাম্যমাণ আদালত

রঙিন কাপড় দিয়ে নির্মাণ করা হয় গেট। বরযাত্রী-অতিথিদের খাওয়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে প্যান্ডেল। সকাল থেকে চলছিল বাবুর্চিদলের রান্না-বান্নার কাজ। দেখে বুঝার উপায় নেই এটা একটি বাল্যবিয়ের বিশাল আয়োজন চলছে। তাও আবার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে। তার বয়স হবে সর্বোচ্চ ১২ বছর। তবে সবাই যখন বরযাত্রী আসার অপেক্ষায় ঠিক তখন বিয়ে বাড়িতে হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর তাতেই মুহূর্তে ভেস্তে যায় বাল্যবিয়ের আয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রাহুতপাড়া গ্রামে গিয়ে এভাবে একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহাদত হোসেন।

স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাহুতপাড়া গ্রামের হাসান মীর তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহাদত হোসেন বলেন, রাহুতপাড়া গ্রামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। এমন খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশের একটি টিম নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে কনের একটি জন্মসনদ দেখানো হয়। সেখানে কনের বয়স ১৮ বছরের বেশি।

তিনি আরও বলেন, তবে কনের বড় বোনের জন্মসনদ ঘেটে দেখা যায় তাদের দুই বোনের বয়সের পার্থক্য মাত্র তিন মাস। এতে ধারণা করা হয় জন্মসনদের কাগজ হয়তো ভুয়া, নয়তো তথ্য গোপন রেখে জন্মসনদ করা হয়েছে। পরে উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবে না মর্মে কনের বাবার মুচলেকা নিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *