ফিলিস্তিন ই’স্যু নিয়ে এবার মুখ’ খুললেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থ’নীতিবিদ ড. মুহা’ম্মদ ইউনূস। তিনি মনে করেন, ‘স্বাধীন ফি’লিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’ই এখন সবচেয়ে জরুরি’ কাজ।
এতে’ কোনো বিলম্ব ‘আর গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য’ করেন তিনি। রো’ববার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ‘ড. মুহাম্মদ’ ইউনূস বলেন, ‘ই’সরাইল ও ফিলিস্তিনের’ মধ্যকার বি’রোধ বহু পুরোনো’ একটি সমস্যা।
ফিলিস্তি’নের মানু’ষের প্রতি ইসরাই’লের আচরণ এই সমস্যাটি ক্র’মেই আরও ‘জটিল করে তুল’ছিল এবং একটি বিস্ফোরণ’ অবশ্যম্ভাবী’ হয়ে পড়েছিল।’ কিন্তু যা ঘটল তা একটি সভ্য সমাজে ‘কোনো বিচারে’ই গ্রহণযো’গ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘এই “সমস্যার এখন একটিই ‘সমাধান, আর তা হলো দুটি আ”লাদা রাষ্ট্র সৃষ্টি, “যে বিষয়ে জাতি’সংঘের একটি সিদ্ধান্ত থা”কলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই এলাকায় শান্তি” প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ছা”ড়া আর কোনো বিকল্প নেই।” দুটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনে” জাতি’সংঘের এই দীর্ঘ’-উপেক্ষিত সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নই’ এখন আমাদে’র সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার
হওয়া উচিত। ন’তুবা পরিস্থি’তি আমাদের ‘কোথায় নিয়ে যাবে তা কেউ জানে ‘না। বর্তমান পরি’স্থিতি পুরো অঞ্চলে আগুন ধরিয়ে দিতে পা’রে, যা দ্রুত’ ছড়িয়ে প’ড়তে পারে গোটা পৃথিবী’তে।’ড. ইউনূসের ভাষ্য, ‘‘একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র
প্রতি’ষ্ঠা এ’খন সবচেয়ে জরুরি বিষয়। আর এটি প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূ’মিকা রাখতে পা’রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ কা”জে’ যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত’ অগ্রসর হলে অ’ন্যরাও তাকে অনুসর”ণ করবে। বাইডেন “প্রশাসনকে অবি’লম্বে এই
অত্যন্ত জরুরি ও “গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি”তে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হবে।’এই বিরোধের “সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব “পক্ষকে অবিলম্বে বৈরিতা অবসা”নের আহ্বান জানিয়ে” তিনি বলেন, ‘এই ভয়ংকর সংক”টের মধ্যে নিপতিত” নিরপরাধ শিশু এবং
বেসামরিক “মানুষের নিরাপত্তা ও কল্যাণের সুরক্ষা দিতে সংশ্লিষ্ট সবাই”কে অনুরোধ করছি।”’তিনি আরও বলেন, ‘দুর্দশাগ্রস্ত জন”সাধারণের কাছে “জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দে”ওয়া এখন অত্যন্ত গুরু”ত্বপূর্ণ। মানুষের জীবন
রক্ষা, মর্যা”দার সুরক্ষা এবং সম”স্যার একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ ক”রার ওপর “আমাদের সম্পূর্ণ দৃষ্টি নিবদ্ধ ক”রতে হবে।’ তিনি আ’হ্বান জানান, ‘আসুন, আমরা সবাই মানুষের দুর্দশার অবসান ঘ’টাতে, দুর্দশাগ্রস্তদের জন্য
নিরবচ্ছিন্ন মা”নবিক সহায়তা নিশ্চিত “করতে এবং এই অঞ্চলে স্থায়ী “শান্তি প্রতিষ্ঠার” লক্ষ্যে একটি সহায়ক ও অর্থপূর্ণ প”রিবেশ নিশ্চিত করতে’ একযোগে কাজ করি এবং দ্রুততম স”ময়ে একটি ফি”লিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার
প্রয়োজনীয়” সব আয়োজন” সম্পন্ন করি।’ ‘এই দিনে এবং এই যুগে আমা”দের সবারই সম্মি’লিতভাবে এই বোধোদয় হওয়া উচি’ত যে যুদ্ধ ও রক্ত’পাত আধুনিক সভ্যতার মূল্যবোধ ও অ”গ্রগতির সঙ্গে এ”কেবারেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
হত্যা ও ধ্বং’সের এই অর্থহীন তা”ণ্ডবলীলা সারা বিশ্ব ব্যথিত হয়ে দেখছে। “ফিলিস্তিন ও ইস’রাইলের মধ্যে শান্তি, সংহতি, সহযোগি’তা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহা”বস্থানের একটি ভবিষ্যৎ
সামরিক যান রেখে পালিয়েছে ইসরায়েলি সৈন্যরা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা আরেক গোষ্ঠীর
তৈরির জন্য কা”জ করা এখন আ”মাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব’- যোগ করেন তিনি।