ফিলিস্তিনের সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র। কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের সঙ্গে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

 

 

এ আলোচনাটি কাতারের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।হামাসের সিনিয়র সদস্য মোসা মোহাম্মদ আবু মারজুক জানান, গাজায় হামাসের সামরিক উইং ইজ আদ দিন আল কাসেম ব্রিগেডের সঙ্গে লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছে ইসরায়েল। এরপর যুক্তরাষ্ট্র হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

 

 

যদও এর আগে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিবরি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আপত্তি জানাবে ওয়াশিংটন। কেননা যুদ্ধবিরতির ফলে কেবল হামাসই লাভবান হবে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে ইসরায়েল সফরে যান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপরই হামাসের হাতে জিম্মি থাকাদের মধ্যে দুজন আমেরিকানকে ছেড়ে দেয়

 

 

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র বলেছেন, মানবিক কারণে দুই মার্কিন জিম্মিকে তারা মুক্তি দিয়েছেন।আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আল-কাসাম ব্রিগেড মানবিক কারণে দুই আমেরিকান নাগরিককে (একজন মা ও তার মেয়ে) মুক্তি

 

 

দিয়েছে।’ তিনি দাবি করেন, দুজনকে মুক্ত করে তারা আমেরিকান জনগণ এবং বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে চান যে- বাইডেন এবং তার প্রশাসনের দাবিগুলো মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।এরপর চলতি সপ্তাহে রাশিয়া সফরে গেছেন হামাসের শীর্ষ নেতারা। এ সময় ইসরায়েলের জিম্মিদের মুক্তিতে নতুন শর্ত দিয়েছেন তারা। দেশটি বলছে, যুদ্ধবিরতি

 

 

ছাড়া কোনো জিম্মিদের মুক্তি নয়। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম কমেরসান্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।সংবাদমাধ্যম হামাসের শীর্ষ নেতা আবু হামিদের বরাতে জানিয়েছে, তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে গাজার ৫০ জিম্মি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গাজার বিভিন্ন উপদলের কাছে থাকা জিম্মিদের খুঁজে বের করতে সময় লাগবে। ফলে

 

 

যুদ্ধবিরতি ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না।উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধে গাজাকে সমর্থন দিয়ে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি যুদ্ধের পরিণতি নিয়ে একের পর এক সতর্কবার্তা দিয়ে আসছেন। বুধবার নতুন এক হুঁশিয়ারিতে তিনি বলেন, এ যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *