ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে কুয়েতের ৪৫ এমপির বিবৃতি

বিবৃতিতে এমপিরা বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইহুদিবাদী শক্তি জেরুসালেমে হামলা বাড়িয়েছে। এ ছাড়া তারা মসজিদে আল-আকসায় তাদের অনুপ্রবেশ বাড়িয়েছে। বিবৃতিতে তারা ইসরায়েলের আচরণের নিন্দা জানান।

 

 

 

 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের ডানপন্থি ক্ষমতাসীন সরকার ও পুলিশ ফোর্সের সহায়তায় মসজিদুল আকসার পবিত্রতার একের পর এক অবমাননা করছে উগ্রপন্থি ইহুদিরা।

 

 

 

 

তারা একের পর এক হামলা করে মসজিদে ইবাদতরত নারী পুরুষদের ওপর হামলা করছে। এমনকি তারা পশ্চিম তীর এলাকার আল-খলিল ও আল-হারাম আল-ইব্রাহিমিতেও হামলা চালাচ্ছে।

 

 

 

 

এতে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকে ফিলিস্তিনের শরণার্থী ক্যাম্পেও আগ্রাসন বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এতে কয়েকশ ফিলিস্তিনি বাসিন্দা হতাহত হয়েছেন।

 

 

 

 

 

অন্তর্জান্তিক সম্প্রদায়ের চোখের সামনে দিয়ে এসব ঘটনা ঘটলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে স্থানীয়রা ইসরায়েলের এমন আচরণের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন।

 

 

ইসরায়েলের এমন আচরণের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন ও কনভেনশন অনুসারেও তারা নিজেরা নিজেদের আত্মরক্ষার পদেক্ষেপ নিতে পারেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

 

এর আগে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের নিরাপত্তা ক্যাবিনেট আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে জানানো হয়ে, ক্যাবিনেটে যুদ্ধাবস্থা ঘোষণার ফলে এখন সরকার প্রয়োজনীয় সামরিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি পেল।

 

 

নেতানিয়াহু আরও বলেন, গাজার সন্ত্রাসী আক্রমণের মাধ্যমে ইসরায়েলের ওপর এ যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

 

 

 

 

 

তার আগে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান শুরু করে ফিলিস্তিনপন্থি স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে প্রায় ৫ হাজার রকেট হামলা চালানো হয়।

 

 

 

সেদিনই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলিদের প্রতি দেওয়া এক বার্তায় বলেন, আমরা এখন যুদ্ধাবস্থায় আছি। তিনি আরও বলেন, আমরা জিতব। আমাদের শত্রুদের এর জন্য কঠিন মূল্য দিতে হবে।

 

সাধারণ জনতাকে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান হামাসের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *