প্রধান বিচারপতির কর্মকাণ্ডে বিস্মিত আইনজীবীরা

ইউনাইটেড ল ইয়ারস ফ্রন্ট (ইউএলএফ) বলেছে, প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের আইনজীবী সমাজ হতাশ ও বিস্মিত। সুপ্রিম কোর্টের ৫২ বছরের ইতিহাসে এমন নজিরবিহীন ঘটনা আর ঘটেনি। গতকাল মঙ্গলবার ইউএলএফ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের পর বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, শপথ নেওয়ার দুই দিনের মাথায় একটি জেলা সমিতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিতর্কিত পুলিশ অফিসার, আইনজীবী নিপীড়নকারী এবং নিয়মিত মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীর কাছ থেকে একটি বৃহদাকার ‘তলোয়ার’ উপহার হিসেবে তিনি গ্রহণ করেন। সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এমন নজিরবিহীন ঘটনা প্রবীণ আইনজীবীদের ভাষায় বিচার বিভাগের জন্য চরম বেদনার মুহূর্ত। আওয়ামী লীগের দলীয় সংবর্ধনা গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে তিনি প্রধান বিচারপতির নিরপেক্ষ পদের মর্যাদা ও সম্মানহানি ঘটিয়েছেন। এতে বিচার বিভাগের ওপর সাধারণ মানুষের অনাস্থা আরও বাড়ছে।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির অ্যাডহক কমিটি আগামী ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইউএলএফও বিচার বিভাগের মর্যাদা, সম্মান, প্রধান বিচারপতি পদের ভাবগাম্ভীর্য এবং বিচার বিভাগের ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্তে একাত্মতা প্রকাশ করছে। সেদিন সুপ্রিম কোর্ট বার চত্বরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল এবং আইনজীবী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউএলএফের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহ-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ইউএলএফের প্রধান সমন্বয়ক বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *