প্রথম রাকাতে ভুলে সুরা নাস পড়লে দ্বিতীয় রাকাতে কী পড়বেন?

নামাজে ভুল হওয়া স্বাভাবিক। সুরাও এলোমেলো হতে পারে। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ইসলামে এর সমাধান রয়েছে। নামাজে সুরা পড়ার ক্ষেত্রে মৌলিক কয়েকটি কথা স্মরণ রাখা উচিত। ১) যেন কমপক্ষে তিন আয়াত পরিমাণ তেলাওয়াত করা হয়। তিন আয়াতের সীমা হলো- কমপক্ষে ৩০ হরফ।

২) এক সুরা পড়ার পর মাঝখানে এক সুরা বাদ দিয়ে পরের সুরা পড়া মাকরুহ। তবে দুই সুরা বাদ দিয়ে পড়লে কোনো সমস্যা নেই। ৩) প্রথম রাকাতে যে সুরা পড়বে, পরের রাকাতে পরের কোনো সুরা পড়বে, আগের কোনো সুরা পড়া মাকরুহ। এতে কোরআনের তারতিব পাল্টে যায়। তবে ভুলে এমনটি করলে সমস্যা নেই।

৪) বড় সুরা মাঝখান থেকে কিছু অংশ পড়া, আর পরের রাকাতে আরেক সুরার মাঝখান থেকে পড়াও অনুত্তম। ৫) প্রথম রাকাআতে বড় সুরা পড়লে তার পরের রাকাআতে তুলনামূলক ছোট সুরা পড়া উত্তম। তবে এসব নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলেও সালাত শুদ্ধ হবে। কেননা, কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ ‘তোমার কোরআনের যেখান থেকে সুবিধা হয় পড়।’ (সুরা মুজাম্মিল: ২০) মূলকথা হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে উপরোক্ত ভুলগুলো করা মাকরুহ। অনিচ্ছাকৃতভাবে হলে সমস্যা নেই।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত প্রথম রাকাতে ভুলে সুরা নাস পড়লেও সমস্যা নেই বা গুনাহ নেই। যেহেতু ভুলে হয়েছে। এমন ভুল হলে করণীয় হলো- পরবর্তী রাকাতগুলোতেও সুরা নাসই পড়বে। সুরা নাসের আগের কোনো সুরা পড়বে না। (হালবি কাবির, পৃ. ৪৯৪; ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ৩/৩২০)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের সকল নিয়ম-কানুন সহিহ সুন্নাহ অনুযায়ী পালন করার তাওফিক দান করুন। নামাজের মতো মহান ইবাদতের ব্যাপারে আরও সচেতন হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *