পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ওপারে পাড়ি দিলেন ফুটবলের রাজা

বিশ্ব ফুটবলের প্রথম মহাতারকা পেলের জীবনাবসান। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিন বারের বিশ্বকাপ জয়ী বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার প্রয়াত হলেন বিশ্বকাপের পরেই। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ১৯৫৮ সুইডেন বিশ্বকাপ থেকে শুরু করাই ভাল। ব্রাজিলের সুন্দর ফুটবলের শুরু তো সেই থেকেই। যে জোগো বনিতো-র সৌন্দর্য এখনও চোখে-মুখে মেখে রয়েছেন অগণিত ফুটবল পাগল মানুষ।

দিদি-ভাভার ব্রাজিল যে সুন্দর ফুটবলের জন্ম দিয়েছিল, তাকেই লালন-পালন করে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন পেলে-গ্যারিঞ্চা। ফুটবল, ব্রাজিল, জোগো বনিতো সব পড়ে রইল। পেলে চলে গেলেন এ কোন দেশে! বলটাকে প্রিয়তমার মতো ভালবাসতে শিখেছিলেন। পেলের সঙ্গে বলের সম্পর্ক তাই রূপকথার মতো। ১৩৬৩ ম্যাচে ১২৮১টি গোল। চারটি বিশ্বকাপে (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৭০) তাঁর সঙ্গে বলের সেই রূপকথায় মজে ছিল গোটা বিশ্ব।

৮২ বছরের পেলে চেয়েছিলেন মাঠে বসে কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখবেন। শরীর সায় দেয়নি। সেই কাতার, যেখানে ১৯৭৩ সালে প্রথমবার স্যান্টোসের হয়ে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। শরীরে মারণ রোগের থাবা। তার উপর হৃদযন্ত্রে সমস্যা। সারা শরীরে বিপক্ষ দলের ডিফেন্ডারদের দেওয়া অসংখ্য চোট-আঘাত তাঁকে দমাতে পারেনি। কিন্তু ক্যান্সারের কাছে তাঁর কৃষ্ণাঙ্গ, সুঠাম শরীর বশ মেনে নিয়েছিল। ‘ফিফা’ ম্যাগাজিনের পাঠক এবং জুরি বোর্ডের বিচারে তিনিই বিংশ শতাব্দীর ‘শ্রেষ্ঠ’ ফুটবলার। তবে ইন্টারনেটে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের ভোট গিয়েছিল দিয়েগো মারাদোনার পক্ষে। ফিফা শেষ পর্যন্ত যুগ্ম ভাবে শতাব্দীসেরা ঘোষণা করে দু’জনকেই। মারাদোনা ২০২০ সালে ৬০ বছর বয়সে প্রয়াত হন আচমকাই। এ বার পেলেকেও হারাল বিশ্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *