পিটার হাসের টার্গেট কী

বাংলাদেশে জাতী’য় নি’র্বাচন সামনে এলে প্রতিবারই তৎপর হয়ে ওঠেন বি’দেশি ‘কূটনীতিকরা। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদ’লের ‘সফরের পাশাপাশি বাড়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের’ ব্যস্ত’তা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে এবা’রও এ’র ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বাংলাদেশের রাজনী’তি নি’য়ে প্রায় এক বছর ধরেই তৎপরতা চালাচ্ছে বিদে”শি”রা।” তার মধ্যে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে “যুক্ত”রাষ্ট্রের সক্রিয়তা। বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হা”সের” দৌড়ঝাঁপ নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিবিদদের তৎপর”তাকে”ও ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সংশ্লিষ্ট”দের “মতে, জাতীয় নির্বাচনের আগে নানামুখী তৎপর”তা “চালাচ্ছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এক্ষেত্রে তিনি ‘পশ্চি:মা কূটনীতিকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রাজনীতি ও নির্বাচন’ নি’য়ে মার্কিন দূতের কর্মকাণ্ডে সরকারের দিক থেকে’ বা’রবার অসন্তোষ জানানো হয়েছে। তার পরও বিভিন্ন ‘অঙ্গ’নের সঙ্গে আলোচনায় পিটার হাস সুষ্ঠু, অবাধ’ ও অং’শগ্রহণমূলক নির্বাচন, সংলাপ-সমঝোতা, সরকা’রবি’রোধীদের গ্রেপ্তার না করা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’সহ’ নানা বিষয়ে কথা বলেই যাচ্ছেন। এমনকি সম্প্র’তি ‘তিনি শর্তহীন সংলাপের আহ্বানও জানাচ্ছেন।

দ্বাদশ ‘জাতী’য় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈ’তিক দ’লের অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। সংবিধান অনুযায়ী’ বর্ত মান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অনড় ক্ষম তাসীন ” আও”য়ামী লীগ। অবশ্য নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার” বিষয়ে”ও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে তারা। অন্যদিকে বিএন”পি স্প”ষ্টই জানিয়ে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসি”নার নেতৃত্বের সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। স”রকারের” “পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে”র একদফা দাবিতে আন্দোলন করছে তারা। গত ২৮ অ”ক্টোবর বি”এনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনার “জেরে দ”লটির মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে কা”রাগারে “পাঠানো হয়েছে। সারা দেশে চলছে ব্যাপক “ধরপাক”ড়। এসব কারণে দুপক্ষের দূরত্ব আরও বেড়েছে “বলে “মনে করেন বিশ্লেষকরা।

তারা বল”ছেন, “বর্তমান বাস্তবতায় প্রধান দুদলের মধ্যে সংলাপের” মাধ্যমে” কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো কঠিন। মার্কিন “রাষ্ট্রদূ”তেরও তা বুঝতে পারার কথা। তা সত্ত্বেও তপশিল” ঘো”ষণার আগ মুহূর্তে পিটার হাসের এমন তৎপর”তার “লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূ”ত্রগু”লো বলছে, শুরু থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সর”ব যুক্তরা”ষ্ট্র। ওয়াশিংটন বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণ”মূলক” ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে অব্যাহ”ত বার্তা” দিয়ে যাচ্ছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে পিটার হাসের “ঢাকা”র কূটনৈতিক তৎপরতা সবার দৃষ্টি কেড়েছে। প্রায়ই “তিনি” বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, “নাগরি”ক সমাজ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মহলের “সঙ্গে” প্রকাশ্য ও গোপন বৈঠক করছেন। দুই দেশে”র ক”র্মকর্তাদের মধ্যে ঢাকা ও ওয়াশিংটনেও আলাপ-আলো”চনা “অব্যাহত রয়েছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর তারা “চলমান “রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের বার্তা নিয়ে ত”ৎপরতা”ও বাড়িয়েছে।

সাম্প্রতি”ক “ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, র্যাবের ওপর” নিষে”ধাজ্ঞার মধ্যেই গত ২৪ মে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চি”ত ক”রতে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা” করে “যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘোষণার পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটারে”র তৎ”পরতাও লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে যায়। ঢাকার মার্কি”ন দূতাবাস, পিটার হাসের বাসভবন, আমেরিকান ক্লা”ব, এমনকি বড় রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয়ে বৈঠ”কের পর বৈঠক ও চা-চক্র চলে। এ সময়ে বিএনপি ও তাদে”র মিত্ররাও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। আন্দোলনের পাশাপাশি ক”ঠোর হতে থাকে তাদের বক্তৃতা।

খোঁজ “নিয়ে জানা গেছে, গত দুমাসে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বেশ কিছু গু”রুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—গত” “১৯ অক্টোবর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকদের সঙ্গে “মতবিনিময়, ২২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান “কামালের সঙ্গে বৈঠক, একই দিনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব “তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ, ৩১ অক্টো”বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়া”লের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বৈঠক, ২ নভেম্ব”র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি” ভবন পদ্মায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক, ৬ নভেম্বর আওয়ামী লীগের” সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত “সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন

রাষ্ট্রদূ”ত। এ ছাড়া গত ২৫ অক্টোবর প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পা”নির পরিচালক সৈয়দ এম আলতাফ হোসাইনের উদ্যোগে “তার গুলশানের বাসভবনে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে নৈশভো””জে অংশ নেন পিটার। ওই বৈঠক ঘিরেও বিভিন্ন অঙ্গনে” ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। যদিও সেখানে আওয়ামী” লীগের প্রতিনিধিও ছিলেন। তবে বেশিরভাগ বৈঠকের “আলোচনার বিষয় গণমাধ্যমে বিস্তারিত জানায়নি কোনো প”ক্ষই। ধারণা করা হচ্ছে, এসব বৈঠকে চলমান রাজনৈ”তিক সংকট—বিশেষ করে নির্বাচন ও সংলাপ নিয়ে ওয়া”শিংটনের বার্তা বিনিময় হতে পারে। তবে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সি”ইসির সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ”নৈতিক দলগুলোর মধ্যে শর্তহীন সংলাপ আয়োজনের আহ্বা”ন জানান।

জানা গে”ছে, গত ২৫ অক্টোবর প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পা”নির পরিচালক সৈয়দ এম আলতাফ হোসাইনের উদ্যোগে” তার গুলশানের বাসভবনে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে নৈশ”ভোজে অংশ নেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। নৈশভোজে বিদেশি কূটনী”তিকদের মধ্যে ছিলেন সিঙ্গাপুর দূতাবাসের ইউসুফ এম আশ”রাফ, শিলা পিল্লাই, মার্কিন দূতাবাসের চিফ পলিটি”ক্যাল কাউন্সিলর শ্রেয়ান সি ফিজারল্ড প্রমুখ। বিএনপি” নেতাদের মধ্যে নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির” সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড”ভোকেট জয়নাল আবেদিন, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদু”ল আউয়াল মিন্টু, আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য তাবিথ” আউয়াল, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, গাজীপুর জেলা বিএনপি”র সভাপতি ফজলুল হক মিলন প্রমুখ। নৈশভোজে ভূমিম”ন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীও অংশ নিয়েছেন বলে সংশ্লি”ষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

গত ১৯” অক্টোবর দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পা”দকদের সঙ্গে পিটার হাসের মতবিনিময়ে ডেইলি স্টার সম্পাদক” মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, “দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক ভো”রের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং বাংলাদে”শ” প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম প্রমুখ অংশ নেন। সে”খানে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের সদস্যরাও যোগ দিয়েছিলে”ন। পরে মার্কিন দূতাবাস সেই অনুষ্ঠানের ২৯ সেকে”ন্ডের ফটো-স্টোরি রিলিজ করেছে। ‘গণমাধ্যমের স্বাধী”নতা’ শব্দ দুটিকে ট্যাগ করে প্রচারিত সেই বার্তার ক্যাপ”শনও করা হয়।

দক্ষিণ ও” মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন” আক্তারের সর্বশেষ ঢাকা সফরের সময় গত ১৬ অক্টোবর “নাগরিক সমাজের জন্য পিটার হাসের বাসভবনে চা-চক্রের” আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি “গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি”) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, টিআইবির নির্বাহী” পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারে”র সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরু”দ্দীন, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং “চাকমা সার্কেলের রানী য়েন য়েন।

ওই অনু”ষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজন জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচ”নের বিষয়টি নাগরিক সমাজ কীভাবে দেখছে এবং তাদের” ভূমিকা কতটা, ভিসা নীতির মতো মার্কিন পদক্ষেপ সুষ্ঠু নি””র্বাচনে কতটা ভূমিকা রাখছে বা রাখবে, নাগরিক সমাজে”র কাজে প্রতিবন্ধকতাগুলো কী কী—এসব বিষয় নিয়ে যুক্তরা”ষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়।

সং”শ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রকাশ্য বৈঠকের পাশাপাশি মার্কিন রাষ্ট্র”দূত গোপনেও রাজনীতিকসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলো”চনা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ১২ অক্টোবরে বিএনপি মহাস”চিবের সঙ্গে একটি বৈঠক হওয়ার কথা শোনা গেলেও দুপক্ষ”ই তা অস্বীকার করে। সিনিয়র কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার” পর বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যম সারির “নেতাদের সঙ্গে মার্কিন দূতের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে” বলে জানা গেছে।

নির্বাচ”নের আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই কূটনৈতিক তৎপরতা”কে বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখছেন সাবেক কূটনীতিক ওয়ালিউ”র রহমান। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘যে কোনো কূটনীতি”কের অবশ্যই ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলা উচিত। তারা “”চাইলেও অন্য একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যত্রতত্র” কথা বলতে পারেন না। যে কোনো বিষয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে” তারা আলোচনা করতে পারেন। এটাই রীতি।’

তিনি” বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যা বলছে পিটার হাস তা-ই করছে। মার্কি”ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন” ভারত সফরে দিল্লি-ওয়াশিংটন সংলাপে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে” কথা বললেও তা গণমাধ্যমে জানায়নি। তবে দুই দেশে”র সংলাপের পর ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানান”, বাংলাদেশ প্রশ্নে দিল্লির অবস্থান ওয়াশিংটনকে অবহি”ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ভারত”” শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশের উন্নয়ন কেমন হবে, নির্বাচন কেমন” হবে, তা সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগ”ণই তা ঠিক করবেন। তারাই তাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধার”ণ করবেন।’

ওয়ালিউর রহমান আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ হয়েও গণতন্ত্র, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন অজুহাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি করছে। এটি তারা বিশ্বের সর্বত্রই করেছে। কিন্তু দিন শেষে দেখা গেছে, কোথাও সফল হয়নি। বরং সেসব দেশের ভয়াবহ ক্ষতি করে ফেলেছে। কারণ তাদের ভাবনার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল থাকে না।’

পিটার” হাসের কূটনৈতিক তৎপরতা ওয়াশিংটনের রাজনৈ”তিক সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সভাপতি” সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যে কোনো “দেশের রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনকালে সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল”য়ের দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতও তাই কর”ছেন। যদিও পিটার হাস বেশি সক্রিয়। তার তৎপরতা”কে নানাভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। কারণ আগের চেয়ে ঢাকা-ও”য়াশিংটন সম্পর্ক এখন বহুমাত্রিক। তাই পিটার হাসের “সক্রিয়তা আমরা সীমা লঙ্ঘন বললেও তারা বলবে, তাদের” দায়িত্ব পালন করছে।’

সাবেক” এই কূটনীতিকের মতে, ‘ভূ-রাজনীতি, কৌশলগত ও অর্থ”নৈতিকসহ সবক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েছে। এ অঞ্চলে” ভারত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার পরই চতুর্থ জনগোষ্ঠী”র দেশ বাংলাদেশ। আমাদের বর্ধিষ্ণু জনসংখ্যাকে রাজনৈ”তিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে শক্তির আধার হিসেবে “দেখে যুক্তরাষ্ট্র। একাত্তরে যে বাংলাদেশকে তারা অবমূল্যা”য়ন করেছিল, সেই বাংলাদেশ এখন অসাধারণ সৃজনশী”ল দেশ। তাদের ইন্দোপ্যাসিফিক কৌশলেও এদেশের গুরুত্ব অ”নেক। হয়তো বাংলাদেশকে পাশে রাখতেই তাদের এত তৎপরতা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *