নেতানিয়াহুকে কড়া ভিডিওবার্তা, যা বললেন ইসরায়েলি নারী বন্দি

সম্প্রতি হামাস ৭৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে তিন নারীকে বন্দি করে দেখা গেছে। তাদেরই একজন ইসরায়েলি সরকারকে বন্দি বিনিময়ের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। হামাসের মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের এ ভিডিও না দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলজাজিরা।

 

 

ক্লিপে বন্দিদের একজন সরাসরি নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ্য করে কথা বলেন। তবে এগুলো তার নিজের কথা ছিল নাকি তাকে জোর করে এসব বলানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।তিনি বলেন, ‘আমরা ৭ অক্টোবর হামলায় আপনাদের রাজনৈতিক ও সামরিক ব্যর্থতার দায়ভার বহন করেছি। আমাদের উদ্ধার

 

 

করতে সেনাবাহিনী ছিল না। কেউ এগিয়ে আসেনি। কেউ আমাদের রক্ষা করেনি।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিরীহ নাগরিক যারা ইসরায়েলকে কর প্রদান করি। আমরা এখন খারাপ অবস্থায় বন্দি।’নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ্য করে ওই নারী

 

 

বন্দি বলেন, ‘আপনি আমাদের মেরে ফেলছেন। আপনি কি আমাদের মারতে চান? সবাইকে মেরে ফেলাই কি যথেষ্ট নয়? যে পরিমাণ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে তা কি যথেষ্ট নয়?বন্দি ওই নারী বলেন, ‘এখন আমাদের মুক্ত করুন।

 

 

তাদের নাগরিকদের মুক্তি দিন, তাদের বন্দিদের মুক্তি দিন, আমাদের সবাইকে মুক্তি দিন। আমরা আমাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে যাই।’এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েলি নাগরিকরা। দেশটির উপকূলীয় শহর

 

 

সিজারিয়াতে সরকারবিরোধী এক বিক্ষোভ থেকে নেতানিয়াহু সরকারের যুদ্ধনীতির সমালোচনা করেন বিক্ষোভকারীরা। তারা দাবি করেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর সামরিক হামলা কেবল আরও যুদ্ধ ডেকে আনবে।হামাসের

 

 

হাতে আটক বন্দিদের পরিবার ইসরায়েলি সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে জিম্মিদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, জিম্মিদের মুক্ত করার অংশ হিসেবেই

 

গাজাতে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী।তেল আবিবে বিক্ষোভকারীরা গান গেয়ে প্রতিবাদ করেন এবং নিখোঁজদের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড ধারণ করেন। অপহৃত হওয়া নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে তারা ‘এখনই

 

 

তাদের বাড়িতে নিয়ে আসুন’ ‍স্লোগান দেন।এ ছাড়া, হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারী শনিবার নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের রাস্তায় প্রতিবাদ করেন। গাজায় হামাসের সাথে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের বিরোধিতা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *