নির্বাচনে জিতবে কোন দল, গবেষণার ফল প্রকাশ

বাংলাদেশ অ’র্থনীতি সমি’তির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যা’লয়ের অর্থনীতি’ বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. আ’বুল বার’কাত সম্প্রতি ‘ভোটারের মন ও আসন্ন ২’০২৪ জাতীয় সংসদ ‘নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল’ শীর্ষক ‘এক গবেষণা শেষ ক’রেছেন।

 

 

এ উপলক্ষে বৃহস্প’তিবার (২৬ অক্টোব’র) বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি আয়োজিত এ:কটি জাতীয়’ সেমিনার ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন’ করা হয়। এতে অ’র্থনীতিবিদ ড. বারকাত বলেন, ‘আসন্ন ২০২৪: জাতীয় সংসদ নি’র্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও :অংশগ্রহণমূলক: হলে; যেখানে সব দল, প্রার্থী ও ভোটারের’ জন্য নির্বাচনী মাঠ ‘সমান সমতল

 

 

হবে, তাহলে ৩০০ আস’নের জাতীয় সংসদ ‘নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী’ লীগ ১৪৮‑১৬৬টি ‘আসন, বিএনপি ১১৯‑১৩৭টি, অন্যান্য দল ১৫টি’ আসন পেতে পারে।’গবেষণায় উঠে আসা এসব ত’থ্য তুলে ধরে সমিতির’ সভাপতি আরও বলেন, দেশের ৩০০টি’ সংসদীয় আসনের’

 

 

মধ্যে ১৫৫টি আসনের ভাগ্য মোটামুটি :নির্ধারিত, যেগুলো: দেশের প্রধান রাজনৈতিক :দলগুলোর :‘ভিত্তি আসন’ বা ‘সম্ভাব্য বিজয়‑নিশ্চিত’ আসন’। ‘এই ১৫৫টি ভিত্তি আসনের মধ্যে ৭০টি আস’ন পেতে পারে’ আওয়ামী লীগ, ৭০টি আসন বিএনপি এবং’ বাকি ১৫টি আসন’ জাতীয় পার্টি, জামায়াতে

 

 

ইসলামী, এ’লডিপি, বিজেপি।’ তবে বড় দুই দলের মধ্যে যে কোনো দলকে সর’কার গঠন করার ‘জন্য প্রয়োজনীয় আর ৮১টি আস’ন (এসবই ‘বিজয়’‑অনিশ্চিত আসন’) পেতে হলে ‘দোদুল্যমান ‘ভোটারদের’ ভোটে’র ওপর নির্ভর করতে হবে এবং যে কো’নো আসনে জি’ততে হলে দোদুল্যমান ভোটার’দের ৫৬ শতাংশ ভো’ট পেতে হবে।

 

 

দোদুল্যমান ভোটারদের ‘ভোট প্রদান সিদ্ধান্তে ‘দ্রব্যমূল্য, মানব নিরাপত্তা, পদ্মা সেতু, ২০১৮ সা’লের নির্বাচন ‘এবং স্যাংশন‑নিষেধাজ্ঞা, ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ই’সরায়েলে’র যুদ্ধ ঘোষণা অবজেক্টিভ ফ্যাক্টর ‘ও সংশ্লিষ্ট কাউন্টার‑ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। একই সঙ্গে’ প্রভাবক হিসে’বে

 

 

আত্মীয়তা, বন্ধুবান্ধব, ঘনিষ্ঠজন, ‘মুরুব্বিদের উ’পদেশ‑আদেশ‑নির্দেশ, পিতৃতান্ত্রি’কতা (নারীর ক্ষেত্রে) সা’বজেক্টিভ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবঅ’ধ্যাপক আবুল ‘বারকাত বলেন, ‘ভোটারের সম্ভাব্য দলীয় ‘আনুগত্য অবস্থা, ভি’ত্তি ভোটের (দলীয় অনুগত ভোটা’রের ভোট) ধার ণা, ভিত্তি আসনের (সম্ভাব্য বিজয়-নিশ্চিত’ আসন) ধারণা,

 

 

‘বিজয়-অনিশ্চিত আসনের ধারণা, দো’দুল্যমান ভোট, দো’দুল্যমান ভোটারদের ভোট প্রদান সিদ্ধা’ন্ত গ্রহণের পেছনের ফ্যাক্টর-কাউন্টার ফ্যাক্টর এবং এস’বের সম্ভাব্য প্রভাব ও গতিমুখ, ভোটারদের ভৌগলিক: অবস্থান বিভাজন (পদ্মা সেতুর প্রভাব অঞ্চল এবং তার: বাইরের অঞ্চল)

 

 

ব্যাখ্যা‑বিশ্লেষণ এবং বিভিন্ন অঞ্চলের’ মানুষের সঙ্গে দীর্ঘ খোলামেলা আলাপ‑আলোচনার ভিত্তিতে করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, দে”শের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫৫টি বিজয়‑’নিশ্চিত এবং ১৪৫টি বিজয়‑অনিশ্চিত আসনের জয়‑পরাজয়ে ‘ভূমিকা রাখবেন দোদুল্যমান

 

 

ভোটাররা। তবে ভিত্তি আসন’ অর্থাৎ তুলনামূলকভাবে বিজয়-নিশ্চিত আসনে দোদুল্যমান: ভোটারদের ভূমিকা থাকবে কম। অন্যদিকে বিজয়’‑অনিশ্চিত আসনের ভাগ্য নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা থাকবে ‘দোদুল্যমান ভোটারদের। বিভিন্ন অনুসিদ্ধান্তভিত্তিক হিসেবপত্রে’ দেখা গেছে, দেশের

 

 

১৪৫টি বিজয়-অনিশ্চিত আসনের’ মধ্যে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ৭৮‑৯৬টি আসন এবং’ বিএনপি ৪৯‑৬৭টি আসন পেতে পারে। পদ্মা সেতুর কারণে পদ্মা সেতু ভোট লভ্যাংশ হিসেবে দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ ‘পশ্চিম অঞ্চলের ২৩টি বিজয়‑অনিশ্চিত আসনের সব কটিতে ‘আওয়ামী লীগ

 

 

এবং ঢাকাসহ দেশের পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর’ :অঞ্চলের ১২২টি বিজয়-অনিশ্চিত আসনের মধ্যে আওয়ামী ‘লীগ ৫৫-৭৩টি এবং বিএনপি ৪৯-৬৭টি আসন পেতে :পারে।প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত বলেন, সম্ভাব্য’ চূড়ান্ত ফলাফল বহাল থাকলে আওয়ামী লীগের পক্ষে

 

 

‘জোটবদ্ধভাবে সরকার গঠন সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এ ক্ষে’ত্রে জো’ট হতে পারে জাতীয় পার্টির সঙ্গে। তবে আওয়ামী লীগের ‘পক্ষে এককভাবেও সরকার গঠন সম্ভব হতে পারে, যদি’ তাদের আসনসংখ্যার গতিমুখ সর্বোচ্চ সম্ভাব্য-আসনমুখী হ’য় (অর্থাৎ সর্বনিম্ন ১৪৮ আসন থেকে

 

 

সর্বোচ্চ ১৬৬ আস’নমুখী হয়)।সম্ভাব্য চূড়ান্ত ফলাফল যদি বহাল থাকে, তাহলে’ বিএন’পির পক্ষে এককভাবে সরকার গঠন সম্ভাবনা নেই। ‘তবে ‘বিএনপির পক্ষে জোটবদ্ধ সরকার গঠনের পাটিগাণিতিক’ সম্ভাব’না যতটুকু আছে, তা যথেষ্ট ‘। এ ক্ষে’ত্রে বিএনপিকে ‘অবশ্য’ই সম্ভাব্য সর্বো’চ্চ’সংখ্যক

 

 

আসন ‘প্রাপ্তি (১৩৭টি আসন) নি’শ্চিত করে জাতীয়’ পার্টি ও জামায়া’তে ইসলামীসহ অন্য ‘সবার সঙ্গে জোট’বদ্ধ হতে হবে এবং এ’কই সঙ্গে আওয়ামী’ লীগের আসন’সংখ্যা কোনো অবস্থাতেই’ সম্ভাব্য সর্বনি’ম্ন সংখ্যক (১৪৮টি’ আসন) আসনের ‘বেশি হতে ‘পার’বে না।

 

 

এত বেশি শর্তসা’পেক্ষ বিধায়, বি এনপির পক্ষে’ জোটবদ্ধ সরকার গঠনে’র বাস্তব সম্ভাবনা’ ক্ষীণ।অর্থনীতি ‘সমিতির সভাপতি আর’ও বলেন, প্রক্ষেপিত হিসাব কত দূর সঠিক-বেঠিক তা বুঝতে’ তিনটি বড় মাপে’র চালক ─ ভি’ত্তি ভোট, ভিত্তি আসন এবং ”দোদুল্যমা’ন ভোটারদে’র ভোট প্রদান সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য কাঠামো’র ‘সম্ভাব্য মান ‘যৌক্তিকভাবে

 

 

পরিবর্তন করে দেখা গেছে যে’, তাতে করে দলভি’ত্তিক আসন বণ্টনে এমন কোনো হেরফের’ হয় না, যাতে চূড়ান্ত ‘উপসংহার পরিবর্তিত হতে পারে। সুত’রাং আসন্ন ২০২৪ সা’লের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দ’লের সম্ভাব্য

 

 

আসনসংখ্যা’র যে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে, তা ‘যথেষ্টমাত্রায় সঠিক ও দৃঢ়’-সবল এবং সম্ভাব্য নির্বাচনী ফলা’ফলসংশ্লিষ্ট গৃহীত পদ্ধতি’তত্ত্ব যথেষ্ট বিজ্ঞান সম্মত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *