১৯৪৭ সালে ধর্মের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা পাকিস্তান রাষ্ট্রের ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এই দীর্ঘ ২৪ বছরের ইতিহাস মূলত পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশকে শোষণ ও নির্যাতনের ইতিহাস। পশ্চিম পাকিস্তানিদের শাসন নামে শোষণের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষের সব ধরনের অধিকার। নাগরিক হিসেবে বাঙালিরা ছিল সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ইত্যাদি সব অধিকার থেকে বঞ্চিত। ব্যক্তি জীবনের ছিল না কোনো ধরনের স্বাধীনতা। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসনের নামে দীর্ঘ এই ২৪ বছরের ইতিহাস ছিল মূলত পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশকে লুটেপুটে খাওয়ার ইতিহাস। পশ্চিম পাকিস্তানিদের ওই শাসনের নামে শোষণ থেকে মুক্তি পেতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাঙালিরা ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও প্রায় ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জন করে বিজয়। পাশাপাশি বাঙালি জাতি লাভ করে স্বপ্নে লালিত স্বাধীনতা। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭১-এ বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ এখনো বাঙালিরা পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারেনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই শুরু করে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং পাকিস্তানের দোসর ও দালালেরা স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধিতা করে আসছে। পাকিস্তানের সাথে আঁতাত করে যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামায়াতে ইসলাম মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে এবং পাকিস্তানের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এবং পাকিস্তানের বন্ধু হিসেবে পরিচিত বিএনপি দল প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানি ভাবধারায় পুষ্ট হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তানে পরিণত করতে প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসাসহ বিভিন্ন দাবিতে গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে সেকেন্ড এভিনিউতে এই বিক্ষোভে পাকিস্তানের পতাকার উপস্থিতি সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনার অগ্রভাগে ঠাঁই করে নিয়েছে। বাঙালি জনসাধারণের মনে প্রশ্ন জাগিয়েছে দলীয় প্রধানের জন্য বিক্ষোভে কেন এবং কী কারণে পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে তারা অংশ নিলেন? তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির এই বিক্ষোভে জামায়াতের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিও ছিল বেশ লক্ষণীয়। ওইদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা সেখানে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে খালেদা ও তারেকের ছবিসহ অনেকে পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে আসেন। বিএনপি-জামায়াতের মাঝে যদি দূরত্বই থাকে তাহলে বিএনপির এই আন্দোলনে এত জামায়াত কর্মীদের উপস্থিতি কেন? তাদের এমন সব কর্মকাণ্ড বিএনপি-জামায়াতের সুসম্পর্ক এবং পাকিস্তানের সাথে বিএনপি- জামায়াতের আঁতাতকে নির্দেশ করছে না কি?
অবশ্যই তা নির্দেশ করছে। কেননা, বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ক অনেক গভীর যদিও তারা লোক দেখানো দূরত্বে অবস্থান করছে এবং এই বিএনপি-জামায়াত জোটের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক অনেক পুরোনো এবং গভীর। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি এবং পাকিস্তানের দালাল এই বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত অবলম্বন করে যাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে গত ২২ সেপ্টেম্বরে বিএনপির আন্দোলনে পাকিস্তানের পতাকার উপস্থিতি নিঃসন্দেহে তাদের আন্দোলনে তাদের বন্ধু পাকিস্তানের দৃষ্টি আকর্ষণ ও তাদের সমর্থন আদায়ে বিএনপি-জামায়াতের প্রচেষ্টা। বাঙালি জনগণের সমর্থন হারিয়ে রাজনৈতিকভাবে নিঃস্ব বিএনপি-জামায়াত এখন হতাশায় ভুগছে। বৈধ উপায়ে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসার পথ পুরোপুরি তাদের বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় আসতে দেশের পরিস্থিতিতে ঘোলাটে করতে চাইছে। এই ক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াত তাদের বন্ধু জঙ্গি রাষ্ট্র পাকিস্তানের সমর্থন আদায়ে বিভিন্ন উপায়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে সূত্র বলছে, বিএনপির এই পাকপ্রেম নতুন নয় মোটেও। দলটির প্রতিষ্ঠাতা অবৈধ সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। তিনি পাকিস্তানি ভাবধারায় পাকিস্তান জিন্দাবাদের মতো বাংলাদেশ জিন্দাবাদ করেছিলেন। একই ভাবধারায় বেতারের নাম বাংলাদেশ বেতার পরিবর্তন করে রেডিও বাংলাদেশ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক ইসলামিক জলসায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেনারেল জিয়ার ডেপুটি এয়ার ভাইস মার্শাল এমজি তোয়াব। সেই জলসায় সভাপতিত্ব করেন সদ্য প্রয়াত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। জলসার স্লোগান ছিল : ‘তোয়াব ভাই তোয়াব ভাই, চাঁন-তারা পতাকা চাই’!
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও এই স্বাধীনতাবিরোধীদের কাছ থেকে মুক্তির জন্য যুদ্ধ চলছে আজও। বাংলাদেশ যতবার উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাতে ধারাবাহিক পথ পাড়ি দিচ্ছে, বিশ্ব দরবারে সবার সামনে মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে ঠিক ততবার তার ওপর আঘাত করা হয়েছে। একসময়ের প্রধান বিরোধী দল যখন তাদের আন্দোলনের প্রধান স্লোগান ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ নির্ধারণ করে তখন আবারও প্রশ্ন উত্থাপিত হয়- এরা কারা, যারা পাকিস্তানকে বাংলাদেশের মানচিত্র উপহার দিতে চায়?
মুক্তিযুদ্ধ গবেষকরা বলছেন, এটা খুবই স্পষ্ট যে, কারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কর্মকাণ্ডে আজও যুক্ত এবং কারা বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য রেখেছে যে, পাকিস্তানের কাছে ফিরে যেতে চায়। বাংলাদেশকে পিছনের দিকে টানছে বিএনপি নেতারা- জোরসে বলো হেইয়ো, টেকব্যাক বাংলাদেশ, পিছিয়ে দাও বাংলাদেশ। ঢাকার বিভিন্ন দেয়ালে শোভা পাচ্ছে আরও অনেক গ্রাফিতি। যার একটিতে দেখা যায়, পাকিস্তানের পতাকা আকৃতির এক ডাইনোসরকে বাংলাদেশের মানচিত্র খেতে উদ্বুদ্ধ করছে তারেক জিয়ার আদলের এক ব্যক্তি। আর লেখা আছে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তারেক জিয়া বাংলাদেশকে শিকল দিয়ে টেনে পিছনে নিতে চেষ্টা করছেন ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগান দিয়ে।
‘টেক ব্যাক জার্মানির’ পরিণাম কী হয়েছিল আমরা সবাই জানি। ঠিক একশ বছর পর হিটলারের স্লোগান ফিরে এসেছে বাংলাদেশে, বিএনপির হাত ধরে। অবশ্য নাৎসি পার্টির পুরো নামের সঙ্গে বিএনপির পুরো নামের মিল আছে। হিটলারের দলের পুরো নাম ‘ন্যাশনাল সোশালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি।’ রাজনৈতিক দল বা নেতারা মূলত জনগণকে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখান, আগামীর পরিকল্পনার কথা বলেন। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্লোগান দিয়েছিলেন ‘চেঞ্জ’ পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নেলসন ম্যান্ডেলা মুক্তি পেয়ে বলেছিলেন, ‘লুক ফরোয়ার্ড।’ অথচ বিএনপি বলছে, ‘টেক ব্যাক।’ বাংলাদেশকে টেনেহিঁচড়ে বিএনপি কোথায় নিয়ে যেতে চায়? কোন আমলে?
এখনো বাংলাদেশকে তারা পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছে। কারণ ২০০১ সাল থেকে বিএনপি ৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। তারা এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎও উৎপাদন করতে পারেনি। খাদ্য ঘাটতি সৃষ্টি করেছিল ৫০ লাখ টন। পক্ষান্তরে, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়, বর্তমানে তার ১৪ বছরের শাসনামলে দেশে এক দানা খাদ্য ঘাটতিও নেই। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার এই মাতৃভূমি বাংলাদেশকে বিএনপি-জামায়াত সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তারা শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলাভাইদের তৈরি করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছিল। এরা বাংলাদেশকে আরেকটি আফগানিস্তান তৈরির স্বপ্ন দেখেছিল। এখনো তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো একটি জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানানোর স্বপ্ন দেখে এবং বানাতে চায়।
পাকিস্তানি ভাবধারায় পুষ্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশের উন্নয়নের চেহারা ছিল বর্তমান সময়ের উন্নয়ন অবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত। তা ছিল পুরোপুরি পাকিস্তানের মতে যেখানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল অনেক কম, বেকারত্বের হার ছিল অনেক বেশি, ছিনতাই, লুটপাট, রাহাজানি, মারামারি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতি, ধর্ষণ, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। জনজীবনে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা ছিল না। বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল অনেক কম, বিদ্যুৎ সংকট, গ্যাস সংকট এসব ছিল প্রতিদিনের সমস্যা। সুতরাং বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলের বাংলাদেশের দুরবস্থাই প্রমাণ করছে যে, বিএনপি-জামায়াত দেশ এবং দেশের মানুষের উন্নয়নের পরিবর্তে দেশের ক্ষতিই করছে এবং দেশকে পাকিস্তানে পরিণত করতে চেয়েছিল এবং এই প্রচেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তাদের সময়ে বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কোনো স্থিতিশীলতা ছিল না। এমনকি এখনো আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও করে দেশের স্থিতিশীল অবস্থাকে অস্থিতিশীলতা তৈরি দেশকে পাকিস্তানে পরিণত করে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে সব ধরনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের দালাল এই বিএনপি-জামায়াত জোট। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দুর্নীতিতে ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। বিএনপি-জামায়াত জোট যেখানে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় সেখানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়ন ও অগ্রগতির মডেল হিসেবে পরিচিত করিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক তথা জনগণের উচিত এই বিষয়গুলো যুক্তিসঙ্গত বিশ্লেষণ করে সত্য এবং বাস্তব জিনিসগুলো উপলব্ধি করা। তাহলেই বাংলাদেশের সচেতন জনগণ বুঝতে পারবে এই বিএনপি অথবা বিএনপি-জামায়াত সত্যিকার অর্থে জনগণের কতটুকু মঙ্গল চায় এবং জনগণের মঙ্গল করার লোভ দেখিয়ে প্রতিনিয়ত দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ও আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করে কতটা ক্ষতি করে যাচ্ছে।
এখনই উপযুক্ত সময় এসেছে বাংলাদেশের সচেতন জনগণের এসব বিষয় উপলব্ধি করে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার। এখন দরকার পাকিস্তানপন্থি বিএনপি-জামায়াতের এই টেক ব্যাক বাংলাদেশবিরোধী একটা অবস্থান নেওয়া এবং এদের প্রতিরোধ করা। আমরা বাঙালিদের শক্তি হলো, যখনই বাংলাদেশের ওপর কোনো আঘাত এসেছে তখনই আমাদের তরুণ প্রজন্ম তা রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে। এবারও পারবে। আর তারই ধারাবাহিকতায় এই প্রতিরোধের অংশ হিসেবে তরুণ প্রজন্ম মাঠে কাজ করছে নানাভাবে। এবার তারা টেক ব্যাক বাংলাদেশকে সমালোচনা করে ঢাকার রাস্তায় নতুন গ্রাফিতি নিয়ে হাজির হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের শিক্ষিত ও স্মার্ট তরুণ প্রজন্ম কখনো আজকের এই বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত হতে দিবে না। একতাবদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের ন্যায় এখনো সব অপশক্তিকে প্রতিহত করতে আমাদের তরুণ সমাজ বদ্ধপরিকর।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া: ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, কর্তৃপক্ষের নয়। ]