নওগাঁর মান্দায় আউশ ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তাদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে আশানুরুপ ফলন হচ্ছে এবারে আউশ জাতের ধানে। হাটবাজারে নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা মণ দরে। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা।

নওগাঁর মান্দায় আউশ ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তাদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে আশানুরুপ ফলন হচ্ছে এবারে আউশ জাতের ধানে। হাটবাজারে নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা মণ দরে। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত বছরের তুলনায় এবারে বৃষ্টিপাত অনেক কম হয়েছে।

এ কারণে উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় জমিতে বাড়তি সেচ দিতে হয়েছে কৃষকদের নিচু এলাকার জমিতে জলাবদ্ধতা হয়নি। ধানক্ষেতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ তেমন ছিল না। সবমিলিয়ে আউশ ধান চাষে এবারে অনুকূল আবহাওয়া ছিল। ফলনও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আউশ মৌসুমে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ১৪ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-ধান ৫৬ জাতের আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

তবে কিছু কিছু এলাকায় ব্রি-ধান ৭৫, ব্রি-ধান ৬৫, ব্রি-ধান ৫৭সহ হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। সুষ্ঠুভাবে কাটা-মাড়াই শেষ হলে এ চাষ থেকে প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, আউশ ধান কাটার পর ওইসব জমিতে ব্রি-ধান ৯০, ব্রি-ধান ৩৯সহ চিনি আতব ধানের চাষ করবেন কৃষকেরা। উপজেলার মহানগর গ্রামের কৃষক আনিছার রহমান চলতি মৌসুমে ৫০ বিঘা জমিতে ব্রি-ধান ৫৬ চাষ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে কৃষক আনিছার রহমান বলেন, ব্রি-ধান ৫৬ স্বল্প মেয়াদের একটি ধান। বীজতলা থেকে শুরু করে ১০০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যে এ ধান কেটে ঘরে তোলা যায়। ফলনও এবারে ২০ মণের ওপরে পাওয়া যাচ্ছে। কৃষক আনিছার রহমান আরও বলেন, ব্রি-ধান ৫৬ কেটে নেওয়ার পর ওইসব জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধান রোপণ করা হবে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আমন ধানেও ফলন ভালো হওয়ার আশা করছেন তিনি।

উপজেলার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক বাসুদেব মজুমদার বলেন, আউশ ধানের জন্য এবারের আবহাওয়া খুব ভালো ছিল। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জমিতে দুই থেকে তিনবার সেচ দিতে হয়েছে। ডিজেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় সেচ খরচ বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশকের দাম। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে মজুরী বাড়িয়ে দিয়েছে শ্রমিকরা। এতে বিগত বছরের চেয়ে এবারে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান বাজারে নতুন ধানের চাহিদা রয়েছে। দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।

উৎপাদন খরচের সঙ্গে বাজার দরের সমন্বয় না থাকলে তাদের লোকসান গুনতে হতো। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, আউশ আবাদের জন্য এবারে অনুকূল আবহাওয়া ছিল। রোগ-বালাই না থাকায় ভালো ফলন হচ্ছে। বাজারে নতুন ধানের দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। এ ধানের চাষ থেকে লাভবান হবেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *