ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রদেশর ভিজিয়ানগরম জেলায় হাওড়া-চেন্নাই লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনকে পেছন থেকে অপর একটি ট্রেন ধাক্কা দিলে এই
দুর্ঘটনা ঘটে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় সংকেত না পাওয়ায় ভিজিয়ানগরম জেলায় হাওড়া-চেন্নাই লাইনের ওপর দাঁড়িয়েছিল বিশাখাপত্তনম-পালাসার একটি বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেন। এ সময় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটিকে পেছন দিক থেকে ভিজাগ-
রায়গডড়ের অপর একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।ট্রেনের চালক সংকেত দেখতে না পাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। এ ঘটনার পরপর এই লাইনের ১৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে এবং ২২টি ট্রেন অন্য লাইনে
ডাইভার্ট করা হয়েছে।রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, লাইনচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত বগি ছাড়া মধ্যরাতেই দুর্ঘটনাস্থল পরিষ্কার করা হয়েছে।ভিজিয়ানগরম কালেক্টর নাগলক্ষ্মী বলেছেন, এই ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহতদের সবাই অন্ধ্র প্রদেশের। তাদের মধ্যে চারজনের
অবস্থা গুরুতর।এর আগে গত জুনে ওড়িশায় তিন ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষে ২৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ২ জুন বহনাগা বাজার স্টেশনের কাছে শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে ত্রিমুখীর সংঘর্ষ হলে ওই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে।