দল আগে, নাকি কোনো ব্যক্তি আগে : সাকিব আল হাসান

বিকেলের ভিডিও বার্তায় তাঁকে বিশ্বকাপ দলে না রাখার ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনা করে বিতর্ক আরো উসকে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। আর রাতে দেশের প্রথম ক্রীড়াভিত্তিক চ্যানেল টি-স্পোর্টসে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে এই ওপেনারের আচরণকে ‘বাচ্চাদের মতো’ বলে মন্তব্য করে উত্তেজনা যেন আরো বাড়িয়েই দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

বিশ্বকাপ দল নিয়ে গতকাল বুধবার বিকেলেই দেশ ছেড়ে গেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। যাওয়ার আগে যে সাক্ষাৎকার দিয়ে গেছেন, তাতে অবধারিতভাবেই এসেছে তামিমের বাদ পড়ার প্রসঙ্গ।

সাকিব যদিও দাবি করেছেন যে দল নির্বাচনী আলোচনায় তামিমকে নিয়ে কারো সঙ্গে নাকি তাঁর কোনো কথাই হয়নি। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তামিমকে না খেলানোর যে প্রস্তাব নিয়ে এত আলোচনা ও সমালোচনা, সেই প্রস্তাবে অবশ্য দোষের কিছুই খুঁজে পাননি সাকিব, ‘এটি নিয়ে আমার সঙ্গে কারো কোনো আলোচনাই হয়নি। এমন প্রশ্ন কোথা থেকে এসেছে, আমি জানি না সেটিও। যদি কেউ বলে থাকেন, আমি নিশ্চিত এমন কেউই বলেছেন, যিনি এই দায়িত্বে আছেন।

এটি আগে থেকেই আলাপ করে রাখছিলেন, যেন জানা থাকলে দুই পক্ষের জন্যই ভালো হয়। এ রকম বলাতে খারাপ কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। এটি তো কেউ (দলের) খারাপের জন্য বলবে না নিশ্চিত। কেউ বললে দলের কথা ভেবেই বলেছেন।

ম্যাচকে কেন্দ্র অনেক রকম কম্বিনেশনের কথাই তো ভাবা হয়।’

সাকিব এখানে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার উদাহরণ যেমন টেনেছেন, তেমনি তামিমের আচরণকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন, ‘এ রকম প্রস্তাবে কি দোষের কিছু আছে, নাকি এ রকম প্রস্তাবই দেওয়া যাবে না? দল আগে, নাকি কোনো ব্যক্তি আগে? রোহিত শর্মা এমন একজন খেলোয়াড়, যে কিনা ওপেনিং থেকে শুরু করে সাত নম্বর পর্যন্ত খেলেছে। সে ১০ হাজার রানও করে ফেলেছে। ও (তামিম) যদি তিন-চারে খেলে বা ব্যাটিং অর্ডারে নিচে নেমে যায়, তাহলে কি খুব বেশি সমস্যা হয়? আসলে এটিকে (এই আচরণকে) আমার কাছে মনে হয় বাচ্চা মানুষের মতো…। আমার ব্যাট, আমিই খেলব…।

আর কেউ খেলতে পারবে না। দলের প্রয়োজনে যে কারোরই যেকোনো জায়গায় খেলতে রাজি থাকা উচিত। দল সবার আগে, আপনি এক শ করলেন কী দুই শ করলেন, এটি কোনো পার্থক্য গড়ে দেয় না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *