তপশিল ঘোষণার পর ইসির হাতে যেসব ক্ষমতা থাকে

দ্বাদশ জাতীয় ‘সংসদ নির্বাচনের প্রস্তু’তি নিচ্ছে ইসি। সবকিছু ঠি’ক থাকলে আজ ঘো’ষণা হতে পারে নির্বাচনের তপশিল। নির্বা’চন কমিশন একটি’ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সংবিধান এ’বং আইনের মাধ্য’মে নির্বাচন কমিশনকে কিছু ক্ষমতা দেও’য়া হয়েছে। নির্বা’চনের তপশিল ঘোষণার পর থেকে

কমিশনের হা’তে কী ধরনের ক্ষ’মতা থাকে? সেই ক্ষমতা তারা কত’টুকু প্রয়োগ করতে পা’রে? বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে’ বলা হয়েছে, বাং’লাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা’ আছে নির্বাচন ‘কমিশনের দায়িত্বপালনে

সহায়তা করা’ সকল নির্বাহী ‘কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। পর্যবেক্ষকরা’, বলছেন এর ‘মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নি’শ্চিত করা আছে।’ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন এবং নির্বাচন কমি’শনের ক্ষমতা ‘স্পষ্ট ও বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে গ’ণপ্রতিনিধিত্ব আ’দেশের মাধ্যমে।

কর্মকর্তা বদলি

নির্বাচন বিষ’য়ে বিশেষজ্ঞ আ’ব্দুল আলীম বলেন, তপশিল ঘোষণার পর আ”ইন অনুযা’য়ী নির্বাচন কমিশন চাইলে প্রশাসনে”র মধ্যে রদবদল” আনতে পারেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আ”দেশে বলা হ”য়েছে, নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার প”র থেকে বিভাগী”য় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ ক”মিশনার, জেলা প্র”শাসক, পুলিশ সুপার এবং তাদের অধ”স্তন কর্মকর্তাদে’র নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচ’না ছাড়া বদলি” করা যাবে না।

অন্যদিকে” নিরপেক্ষ নির্বাচনে”র স্বার্থে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে” বদলি করার প্র”য়োজন হলে করলে নির্বাচন কমিশন “লিখিতভাবে সংশ্লি”ষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবে। এরপর যত দ্রুত সম্ভব “সে বদলি কার্যকর ‘করতে হবে।

সাবেক নির্বা”চন কমিশনার এম “সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কমিশনের “চাহিদা অনুযায়ী য”দি সরকার কাজ না করে তাহলে “আইনের বরখেলাপ” হবে। ‘সাধারণত দেখা যায়, সরকার স”বসময় তাদের প”ছন্দমতো কর্মকর্তাদের সেসব জায়গায় নিয়োগ করে দেয়। “এটা সব সরকারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।ত”বে কোন নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী কোনো ক’র্মকর্তাকে বদলি’ করা কিংবা না করা হলে সেক্ষেত্রে” কমিশন কী “করতে পারে?

‘এটা নিয়ে” সরাসরি আইনে ‘কিছু বলা নেই। সংবিধানে বলা আছে নির্বা”হী বিভাগ নির্বাচন’ কমিশনকে সহায়তা করবে। কিন্তু যদি’ না করে বিষয়টি ‘নিয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলা নেই।’নির্বাচ’ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ’ আব্দুল আলীম বলেন, সেক্ষেত্রে ‘নির্বাচন কমিশন ‘আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে।

প্রার্থিতা বাতিল

পর্যবেক্ষ’করা বলছেন, যদি ‘কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আইন ও আচরণ’ বিধির গুরুতর ল’ঙ্ঘন করেন, সেক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিল ‘করতে পারে নির্বা’চন কমিশন। এ বিষয়টিতে নির্বাচন কমিশনে’র পুরোপরি এ’খতিয়ার আছে।

কিন্তু ‘বাংলাদেশে সংসদ নি’র্বাচনের ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনো উদা’হরণ নেই বলে ‘উল্লেখ করেন পর্যবেক্ষকরা।নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘ’নের দায়ে জরিমানা ও সতর্ক করার নজি’র থাকলেও প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি দেখা যায় না।

রিটার্নি অফিসারকে নিয়ন্ত্রণ করা

বাংলাদে’শে সংসদ নির্বা’চনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা রিটার্নিং অ’ফিসার হিসেবে “দায়িত্ব পালন করেন। গণপ্রতিনিধিত্ব’ আদেশে উল্লেখ’ করা আছে, একজন রিটার্নিং অফিসারকে’ নির্বাচন কমিশ”ন যেভাবে দায়িত্ব দেবে, তিনি সে দায়িত্ব পালন করতে’ বাধ্য থাকবেন।

নির্বাচন ‘বিশেষজ্ঞ আব্দুল’ আলীমের ভাষায় একজন রিটার্নিং অফিসার’ একটি এলাকা’য় ‘অল ইন অল’ বা সর্বেসর্বা। তার তত্ত্বা’বধানের নির্বাচন প’রিচালিত হয়। জেলা প্রশা’সকরা নির্বাচন ‘কমিশনের কর্মকর্তা নন। তারা যদি নির্বাচ’নের কমিশনের নির্দেশ’না মেনে না চলেন সেক্ষেত্রে কমিশ’ন কী কর’তে পারে?

সাবেক নির্বা’চন কমিশনার এ’ম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘রিটার্নিং অ’ফিসার নিয়োগ ‘ও বাতিল করা নির্বাচন কমিশনের ‘এখতিয়ার। সেক্ষে’ত্রে নির্বাচন কমিশন তাকে রিটার্নিং অফি’সার হিসেবে নিয়ো’গের বিষয়টি বাতিল করতে পারে।’

ফলাফল বাতিল

গত ১৯ মে’ গণপ্রতিনিধিত্ব আ’দেশের সংশোধনী অনুমোদন করেছে মন্ত্রি’সভা। বিষয়টি নি’য়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়েছি’ল- ‘নির্বাচনের ‘পরে ফলাফল বাতিল করতে পারবে না’ কমিশন। এতে নি’র্বাচন কমিশনের ‘ক্ষমতা খর্ব হয়েছে’ ব’লে বেশ কিছু সং’বাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়।

তখন নি’র্বাচন কমিশনের সচি’ব গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে নির্বা’চনী কার্যক্রম ও ভো’ট চলাকালে নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ‘কমিশনের হাতে আ’ছে। যে সংশোধনী যুক্ত করা হয়েছে সে’টি হচ্ছে – নির্বাচনে’র ফলাফল গেজেট বা প্রজ্ঞাপন’ আকারে জারি ‘হওয়ার পরে পুরো নির্বাচনের ফলা’ফল বাতিল ক’রা যাবে না।

পরে এক’টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি’র মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে ‘যে ভোট চলাকালী’ন নির্বাচনের কমিশনের হাতে ব্যাপক ‘ক্ষমতা আছে।’ কমিশন আবশ্যিক মনে করলে ফলাফল’ গেজেট প্রকাশ ক’রা স্থগিত রাখতে পারবে। নির্বাচন কমিশন ‘বলছে এই ক্ষম’তা আগে ছিল না।

নির্বাচন নি’য়ে অভিযোগ তদ’ন্ত করতে পারবে, যেটি আগে পারতো না’ বলে নির্বাচন কমি’শন দাবি করছে। তদন্তের ফলাফলের ‘ওপর ভিত্তি করে ‘সংগত মনে করলে যেসব কেন্দ্রে ভোটগ্র’হণ বাধাগ্রস্ত হয়ে’ছে সেসব কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করতে পারবে।

২০২২ সা’লের অক্টোবর মা’সে গাইবান্ধায় একটি আসনে উপ-নির্বাচনে’ ভোট গ্রহণের’ দিন ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে সে’দিনই ভোটগ্রহণ ‘বাতিল করে নির্বাচন কমিশন’। নির্বাচন ‘বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের এই ক্ষমতা ‘বহাল আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *