জুমার নামাজে বোমা হামলায় ধসে পড়ল মসজিদ

পাকিস্তানে আবারও বোমা হামলা হয়েছে। এবার হামলা হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের হাঙ্গু জেলায়। আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের সময় এ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে মসজিদটি ধসে তিনজন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া ৩০ থেকে ৪০ জন ধসে যাওয়া মসজিদের নিচে চাপা পড়েছে।

জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, দোয়াবার থানা এলাকায় এ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। থানার মসজিদে নামাজ আদায়ে অনেক মুসল্লি জড়ো হলে এ বোমা হামলা হয়।

হাঙ্গু জেলা পুলিশ কর্মকর্তা নিসার আহমেদ বলেন, মসজিদের ছাদ ধসে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে ৩০-৪০ জন মানুষ আটকা পড়েছে। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।

তিনি আরও বলেন, দুজন বোমা হামলায় জড়িত ছিল। এদের একজন থানা গেট লক্ষ্য করে এবং অন্যজন মসজিদের ভেতরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। ধ্বংসস্তূপ থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনার পর পর শহরের সব হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন খাইবার পাখতুনখোয়ার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী আজম খান। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে এ বিস্ফোরণের বিষয়ে প্রতিবেদন তলব করেছেন তিনি।

এদিকে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৫২ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রদেশের মাস্তুং জেলার একটি মসজিদের কাছে এ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল রাজ্জাক শাহি ডন ডটকমকে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাস্তুংয়ের সহকারী কমিশনার (এসি) আত্তাহুল মুনিম বলেছেন, আলফালাহ রোডের মদিনা মসজিদের কাছে ঈদে মিলাদুন নবী উপলক্ষে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। সে মিছিলে যোগ দিতে মানুষ জড়ো হলে সেখানে এ বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।

পাকিস্তানি এই কর্মকর্তা আরও বলেন, উপপুলিশ কমিশনার (ডিএসপি) নওয়াজ গিশকোরির গাড়িতে এ বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় তিনি ঘটনাস্থলের পাশেই ছিলেন।

বেলুচিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই বলেছেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের কোয়েটায় স্থানান্তর করা হচ্ছে। প্রদেশের সব হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিদেশি মদদে শত্রুরা বেলুচিস্তানে ধর্মীয় সহনশীলতা ও শান্তি বিনষ্ট করতে চায়। বোমা হামলার ঘটনা সহ্য করা হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী আলি মর্দান দোমকি বোমা হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে একই জেলায় বোমা হামলায় উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলের নেতা হাফিজ হামদুল্লাহসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছিলেন। এ ঘটনার এক সপ্তাহ আগে এক বাসস্ট্যান্ডে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের গুলিতে এক সরকারি কর্মকর্তা নিহত হন এবং পাশ দিয়ে যাওয়া আরও দুজন পথচারী আহত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *