চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে’ নিহত হয়েছেন ১১ জন। এছাড়া এ ঘটনায় আরও ৬ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় নিহতদের’ মধ্যে চারজন মিলে প্রতিষ্ঠা করছিলেন আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টার। একসঙ্গে চলতেন তারা একসঙ্গেই’ মারা গেলেন। মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারের চার শিক্ষক হলেন- রাকিব খান তৌহিদুল আলম জিসান’ জিয়াউল হক সজিব ও রেদুয়ান চৌধুরী।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে মাস দুয়েক’ আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আমানবাজার জোগিরহাট এলাকায় তারা আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টার চালু করেন। কোচিং সেন্টারের’ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে খৈয়াছড়ায় গিয়েছিলেন তারা। ঘুরতে যাওয়ার আগে সকালে কোচিংয়ের’ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোচিংয়ের সামনে একটি ছবিও তুলেছিলেন সবাই মিলে। জিয়াউল হক সজিবের বাবা হামিদ’ হোসেন বলেন আমি একটি মুদির দোকানে কাজ করে দুই ছেলেকে পড়ালেখা করিয়েছি।
ছেলে এমইএস কলেজে গণিতে অনার্সের তৃতীয়’ বর্ষে পড়ত। সে তার তিনজন বন্ধুর সঙ্গে মিলে একটি কোচিং সেন্টার চালু করেছিল’ কিছুদিন আগে। ছেলে উপার্জন করতে চেয়েছিল তার আগেই মারা গেল।হাসপাতালে আসা ফারুক চৌধুরী নামের একজন বলেন চারজনই আমার’ কোচিং সেন্টারের ছাত্র ছিল। গত জুনে নিজেরা কোচিং সেন্টার চালুর বিষয়ে তারা’ আমাকে জানায়। আমিও তাদের কোচিং সেন্টার চালুর ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছিলাম।
তিনি আরো বলেন গতকাল জিসান ফোর-এইচ গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানে’ রিপোর্টিং প্রোডাকশন অফিসার পদে যোগদান করেছিল।নিহত রাকিবের চাচা মোজাম্মেল বলেন’ রাকিব বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে কোচিং সেন্টার চালু করে। সে ঢাকায় একটি কলেজে পড়াশুনা করত। এর আগে গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে’ বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় মীরসরাইয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময়’ মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হন এই ১১ জন।
স্থানীয়রা জানান রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে ঢাকা থেকে’ চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেন প্রায় এক কিলোমিটার’ সামনে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসের যাত্রীরা খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে আসছিলেন। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার’ আলী জানান ট্রেনটি বড়তাকিয়া স্টেশন পার হওয়ার সময় লেবেল ক্রসিংয়ের বাঁশ ঠেলে রেললাইনে’ উঠে যায় মাইক্রোবাস। এতে দুর্ঘটনা ঘটে।