চট্টগ্রাম ডুবে গেলেই মানুষ আমাকে ট্রল করে : রিয়াজ

চট্টগ্রাম পানিতে ডুবে গেলেই মানুষ আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়ে হাতে মাছ ধরায় দেয়। ট্রল করে। এটা আমার কাছে খারাপ লাগে না, ভালোই লাগে। তবে একটা কথা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে এটা করে ওই মানুষটা যদি আনন্দ পায় তবে পাক।আমি খুব ইতিবাচক মানুষ।’

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটা মন্তব্য করলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। শুধু তা-ই নয়, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিয়েও এ সময় কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি এ কারণেই এটা বলেছি যে চট্টগ্রাম অনেক ডেভেলপ হয়েছে।

চট্টগ্রামে চমৎকার রাস্তা তৈরি হয়েছে, চট্টগ্রামে টানেল তৈরি হয়েছে, কর্ণফুলীর নিচ দিয়ে। আবার এটা ঠিক যে চট্টগ্রামের অনেক রাস্তা আছে, অনেক এলাকা আছে যেখানে অল্প পানিতে ডুবে যায়।’

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার নিরসনে মেয়র ও দায়িত্বরত ও মেয়রকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে রিয়াজ বলেন, ‘এটা আমাদের কারো কাছেই কাম্য না। আমরা বলি বীর চট্টলা, এটা একটা পোর্ট সিটি।

আমাদের যাবতীয় উন্নয়নের সব কিছুই চট্টগ্রাম থেকেই আসে। এ ক্ষেত্রে আমি বলব, সেখানে যারা দায়িত্বরত রয়েছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্তরিকভাবে যদি তারা কাজ করেন, আমি দেখেছি চট্টগ্রামে ড্রেনে পড়ে একজন মেয়ে মারা গেছে, যখন একজন মেয়ে ড্রেনে পড়ে মারা যায়, তখন এই কষ্টটা ওর ফ্যামিলির বুকে যতটা লাগে, হয়তো আমার বুকে লাগে না, তার পরও লাগে। আমি এটা নিয়ে কষ্ট পাই, আমি এটা চাই না। এটা আমাদের কাম্য না। আমি বলব, নিচু অঞ্চলগুলোর জলাবদ্ধতা নিরসনে যেখানে দায়িত্বরত আছেন, সিটি মেয়র আছেন, তাদেরকে পজিটিভলি কাজ করতে হবে।

জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে প্লাস্টিকের বোতলের কথা উল্লেখ করে রিয়াজ বলেন, ‘আগে প্লাস্টিকের বোতল ছিল না, এখন আমরা পানি খেয়ে প্লাস্টিকের বোতল ফেলে দিই, সেসব যায় কোথায়? হাজার হাজার টন প্লাস্টিকের বোতল এসব ড্রেনের মুখে আটকে যায়। তাই এটিও আমাদের জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড হওয়া উচিত, আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত।’

এক নির্বাচনী জনসভায় চিত্রনায়ক রিয়াজ চট্টগ্রামকে ইউরোপের সঙ্গে তুলনা করেন। এর পর থেকে চট্টগ্রাম পানিতে তলিয়ে গেলেই তাকে নিয়ে ট্রল করা হয় সামাজিক মাধ্যমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *