কোন নামাজে কোন সুরা তিলাওয়াত করা সুন্নত?

প্রশ্ন: ফরজ ও নফল নামাজে কোনো নির্দিষ্ট সুরা পাঠ করা কি মহানবী (সা.)-এর সুন্নত? যদি তাই হয়ে থাকে, তবে কোন নামাজে কোন সুরা পড়া সুন্নত, তা জানালে কৃতজ্ঞ হব।
জিনিয়া ইসলাম, ঢাকা

উত্তর: নামাজে পবিত্র কোরআন থেকে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা ফরজ। কোরআনে যেকোনো স্থান থেকে পড়লেই ফরজ আদায় হয়ে যাবে।

তবে প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহা ও অন্য একটি সুরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব। তবে নামাজের সুরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণত নবীজি (সা.) একটি নিয়ম অনুসরণ করতেন। সেই নিয়ম অনুযায়ী তিলাওয়াত করা সুন্নত। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজে কিরাত পড়ার ক্ষেত্রে নবী (সা.)-এর সাধারণ অভ্যাস ছিল ফজর ও জোহরের নামাজে সুরা হুজুরাত (৪৯ নম্বর সুরা) থেকে সুরা বুরুজ (৮৫ নম্বর সুরা)

পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা। আসর ও এশার নামাজে সুরা তারিক (৮৬ নম্বর সুরা) থেকে সুরা বায়্যিনাহ (৯৮ নম্বর সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা।

মাগরিবের নামাজে সুরা জিলজাল (৯৯ নম্বর সুরা) থেকে সুরা নাস (সর্বশেষ সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা। এটি স্বাভাবিক সময়ের জন্য সুন্নত। সফরে থাকলে এটি অনুসরণ করার প্রয়োজন নেই।

এ ছাড়া জুমার নামাজে নবী (সা.) প্রায় সময় সুরা আলা ও সুরা গাশিয়া বা সুরা জুমুআ ও সুরা মুনাফিকুন তিলাওয়াত করতেন। আবার প্রায় সময় জুমার দিন ফজরের নামাজে সুরা সাজদা ও সুরা দাহর তিলাওয়াত করতেন।

ফজরের আগের দুই রাকাত সুন্নত নামাজে সুরা কাফিরুন ও সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করতেন। বিতরের নামাজে প্রথম রাকাতে সুরা দুহা, দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন ও তৃতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করার অভ্যাস ছিল।

সূত্র: দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম ও মালা বুদ্দা মিনহু।

উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, ফতোয়া গবেষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *