কারাগারে যেভাবে কাটল খাদিজার ৪৫০ দিন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় কারাবন্দি থেকে মুক্তি পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। প্রায় ১৫ মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন তিনি।

দীর্ঘ এই কারাবাস কীভাবে কাটিয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খাদিজাতুল কুবরা বলেন, আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। বিনাদোষে আমি প্রায় ১৫ মাস জেল খাটলাম।

তিনি বলেন, কারাগারে খুব বেশি ভালো ছিলাম না। নামাজ পড়ে, রোজা রেখে আর লেখাপড়া করে সময় কাটিয়েছি। আজকে

আমার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। এখান থেকে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেব।

খাদিজার বোন সিরাজুম মুনিরা বলেন, খুব সকালে আমরা কারাগারে আসি। তারপর সকাল ৯টার সময় খাদিজাকে মুক্তি দেয়। খাদিজার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু আজ থেকে, এ জন্যই

খুব সকালে আসা। এদিকে জামিনে মুক্তি পেয়েই পরীক্ষায় বসেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টার সময় খাদিজা কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সরাসরি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে।

সকাল ১০টার সময় পরীক্ষা শুরু হলেও এদিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে তিনি হলে প্রবেশ করেন। দুই সেমিস্টার লস দিয়ে চতুর্থ

সেমিস্টারে পরীক্ষায় বসেছেন তিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার এক বছর দুই মাস ২৩ দিন পর তিনি মুক্ত হন খাদিজা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার জামিন পান খাদিজা। জামিনের আদেশ গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। কিন্তু গতকাল দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তাকে ছাড়াই ফিরে

যায় স্বজনরা। বৃহস্পতিবার খাদিজার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর কলাবাগান ও

নিউমার্কেট থানা পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট তাকে গ্রে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *