এমটিএফই ফাঁদে ১০ কোটি টাকা হারিয়েছেন খুলনার দেড় হাজার গ্রাহক

খুলনার প্রায় দেড় হাজার গ্রাহক এমটিএফই অ্যাপসের মাধ্যমে এমএলএম কোম্পানি (এমটিএফই)তে বিনিয়োগ করে ১০ কোটি টাকা খুইয়েছেন। এখন তারা কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।

নগরীর নিউ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা আজিজুর রহমান জানান, পরিচিত কয়েকজনের কাছ থেকে এই অ্যাপসের কথা শুনে ২/৩ মাস আগে তিনি প্রায় আড়াই লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। প্রথম দিকে অনেক দিন লাভও হয়েছে। লাভের সেই টাকা তুলে নিয়েছেন। পরবর্তীতে প্রায় ৮/৯ দিন ধরে অ্যাপস থেকে কোনো টাকা তোলা যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে ৩/৪ দিন আগে অ্যাপসে যে ডলার ছিল, তা এখন মাইনাস দেখাচ্ছে। কোনো ডলার নেই। তার মতো আরও অনেকে এভাবে প্রতারিত হয়েছেন।

এমটিএফই’র গ্রাহকরা জানান, এই অ্যাপসে শনিবার ও রোববার বাদে সপ্তাহের অন্য ৫ দিন ট্রেডিং হতো। ২৫ হাজার টাকার সমপরিমাণ ডলার ঢুকালে সপ্তাহে ৫ দিনের প্রতিদিন ৫ ডলার করে লাভ দেয়া হতো। ৬০ হাজার টাকা ঢুকালে সপ্তাহে ৫ দিনের প্রতিদিন ১৩ ডলার করে লাভ দেয়া হতো। অবশ্য মাসে ২/৩ দিন কিছুটা লোকসানও হতো।

তারা জানান, প্রতি সপ্তাহের ট্রেডিং শুরু হতো সোমবার। ওইদিন অ্যাপসে ঢুকে শুধু একটি জায়গায় ক্লিক করতে হতো। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের আর তেমন কোনো কাজ ছিল না। অল্প বিনিয়োগে অধিক লাভ এবং তেমন কোনো সময় দিতে না হওয়ায় অনেকেই হুমড়ি খেয়ে বিনিয়োগ করেন।

নগরীর বয়রা এলাকার বাসিন্দা সুজন আহমেদ জানান, বাড়তি লাভের আশায় তিনি প্রায় ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এই টাকা হারিয়ে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তার পরিবারের একাধিক সদস্য এবং পরিচিত অনেকেই বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন। দুবাই থেকে কুমিল্লার বাসিন্দা মাসুদ নামে একজন এই অ্যাপস পরিচালনা করে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে খুলনা থানার ওসি মো. হাসান আল মামুন জানান, এ সংক্রান্ত কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ তারা পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এদিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরী ও জেলার ১৭টি থানায় এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আসেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *