এবার ভিসানীতির প্রয়োগ নিয়ে মুখ খুললেন ডোনাল্ড লু

এবার বাংলাদেশে মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের প্রক্রিয়াসহ নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে ভিসানীতির বিষয়ে বিস্তারিত জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড লু বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলেছি, এই নীতির আওতায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের দেওয়া হবে, তাদের নাম আমরা প্রকাশ করব না। কাউকে ভিসা না দেওয়াসহ যেকোনো ভিসা রেকর্ড মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয় তথ্য। আমি এটুকু বলতে পারি যে এই নীতি ঘোষণা করার পর থেকে সার্বিক ঘটনা খুব কাছ থেকে আমরা দেখেছি। সাক্ষ্য-প্রমাণ ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর আমরা বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।

কাদের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড লু বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে ক্ষুণ্ণ করছেন, এমন যেকোনো ব্যক্তির ওপর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। এ ছাড়া ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সংগঠনের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা থেকে বিরত রাখতে সহিংসতা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বা মতামত প্রকাশ থেকে বিরত রাখতে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমের ওপর পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণের মতো কারণে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। এই নীতি অনুযায়ী যাদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাদের পরিবারের সদস্যরাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন বলেও জানান তিনি।

লু বলেন, ভিসানীতির উদ্দেশ্য হলো, সহিংসতা কমানো এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের গঠনমূলক অংশীদার হওয়া।

তিনি আরও বলেন, এই নীতি শুধুমাত্র নির্বাচনের দিনের জন্য নয়, বরং সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য প্রযোজ্য। আমরা নির্বাচনের সঠিক তারিখ জানি না, তবে এটা স্পষ্ট যে নির্বাচনি প্রক্রিয়া পুরোদমে চলছে। বাংলাদেশিরা যা চায়, যুক্তরাষ্ট্রও তাই চায়। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।

এর আগে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ম্যাথু মিলার বলেছেন, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই তালিকায় রয়েছেন- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *