এবার চতুর্থ বিয়ে করার ঘোষণা আদম তমিজী হকের

এবার ডিসেম্বরে সৌদিতে ৪র্থ বিয়ে করার ঘোষণা দিলেন সম্প্রতি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় আলোচনার তুঙ্গে থাকা হক গ্রু‌পের ব্যবস্থাপনা প‌রিচালক আদম তমিজী হক।

ফেসবুক পোস্টে আদম তমিজী হক লিখেন, ‘ইনশাআল্লাহ, যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে এবং আমি সময়মতো সৌদিতে তার (৪র্থ স্ত্রী) জন্য বাড়ি বানাতে পারি তাহলে আগামী ডিসেম্বরেই আমি ৪র্থ বিয়ে করব। সবাইকে দাওয়াত। সৌদিতে বিয়ে করাই সর্বোত্তম।’

আদম তমিজী হকের বর্তমানে তিন স্ত্রী রয়েছে। তার স্ত্রীরা হলেন, লিজা হক, সাইরা হক ও নুসরাত হক। আদম তমিজী হক তিন স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে বর্তমানে সবাই সৌদিতে অবস্থান করছেন।

আদম তমিজী হকের এক ফেসবুক পোস্টে জানা যায়, তিনি আরেকটি বিয়ে করেছিলেন তার নাম ছিল জোছনা। তবে সে বিয়ে টিকেনি কারণ তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, আদম তমিজী হক গত তিন দিন ধরে একের পর ফেসবুক পোস্ট, লাইভ ও ভিডিও নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

তমিজী হকের অভিযোগ- গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও তার চাচা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতির লুটপাটের কারণে ঐতিহ্যবাহী শিল্পপ্রতিষ্ঠান হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা অবৈধ হস্তক্ষেপ, লুটপাট ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে আদম তমিজী হক নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলেন। ওই লাইভে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশ ছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যে কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এ দেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ, এ দেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।’

শুক্রবার রাতে বিদেশে অবস্থানকালে আদম তমিজী হক ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘শুভ বিকাল, আমার কারখানা থেকে বেআইনিভাবে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের বাবা একজন ভালো মানুষ ছিলেন, তিনি আমার বাবার বন্ধু। প্রতিমন্ত্রী রাসেল, তার চাচা মতিউর রহমান মতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরু আমার প্রতিষ্ঠান থেকে বেআইনিভাবে টাকা-পয়সা নিতেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *