রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির’ পুতিন মঙ্গলবার ইউক্রেনে তার দেশের সামরিক অভিযানের জন্য ইরানের কাছ থেকে দৃঢ় সমর্থন পেয়েছেন। ইরানের সুপ্রিম লিডার আলী’ খামেনি বলেছেন যে পশ্চিমারা একটি স্বাধীন এবং শক্তিশালী রাশিয়ার বিরোধিতা করে। খামেনি বলেছিলেন’ যে রাশিয়া যদি ইউক্রেনে সৈন্য না পাঠাত তবে এটি পরে ন্যাটোর আক্রমণের মুখোমুখি হত।
এ বিবৃতি’ পুতিনের নিজস্ব বাগ্মীতার প্রতিধ্বনি করে এবং মস্কো এবং তেহরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিফলিত করে কারণ তারা উভয়েই’ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছে। ন্যাটো মিত্ররা পূর্ব ইউরোপে তাদের সামরিক উপস্থিতি’ জোরদার করেছে এবং রাশিয়ার আক্রমণ মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। খামেনি পুতিনকে বলেছেন’ যদি রাস্তাটি ন্যাটোর জন্য উন্মুক্ত থাকত তবে এটি কোনও সীমা এবং সীমানা স্বীকার’ করবে না।
মস্কো যদি প্রথম পদক্ষেপ না নিত তিনি যোগ করেছেন পশ্চিমা জোট ক্রিমিয়ান উপদ্বীপকে আবার দখলে নিতে যুদ্ধ চালিয়ে যেত যেটি’ রাশিয়া ২০১৪ সালে কিয়েভের দখল থেকে মুক্ত করেছিল। ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া সামরিক পদক্ষেপ’ শুরু করার পর তার দ্বিতীয় বিদেশ সফরে পুতিন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানের’ সাথে সিরিয়ার সংঘাতের বিষয়ে আলোচনা করেন এবং তিনি এই সফরটি ব্যবহার করেছিলেন’ বৈশ্বিক খাদ্য সংকট কমাতে রপ্তানি পুনরায় শুরু করার জন্য জাতিসংঘ-সমর্থিত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা’ করতে।
জাতিসংঘ রাশিয়ান ইউক্রেনীয় এবং তুর্কি কর্মকর্তারা যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর বন্দরে আটকে থাকা ২২ মিলিয়ন টন প্রয়োজনীয়’ শস্য এবং অন্যান্য কৃষি পণ্য রপ্তানি নিশ্চিত করার জন্য একটি চুক্তির কিছু দিক নিয়ে একটি অস্থায়ী’ চুক্তিতে পৌঁছেছে। চুক্তিতে পৌঁছানো আসন্ন খাদ্য সঙ্কট দূর করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ চিহ্নিত’ করবে যা গম এবং বার্লির মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। পুতিন ও এরদোগান তেহরানে পৌঁছানোর দিনই তেল-গ্যাসের বিভিন্ন প্রকল্পে’ প্রায় চার হাজার কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছে ইরান ও রাশিয়া।
মঙ্গলবার ইরানের ন্যাশনাল’ ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি (এনআইওসি) এবং রাশিয়ার গ্যাজপ্রমের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুসারে ইরানের’ কিশ ও উত্তর পার্স গ্যাসক্ষেত্র এবং ছয়টি তেলক্ষেত্রের উন্নয়নে এনআইওসিকে সাহায্য’ করবে গ্যাজপ্রম। দেশটিতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) প্রকল্পের সমাপ্তি ও গ্যাস রপ্তানি পাইপলাইন নির্মাণের সঙ্গেও জড়িত থাকবে’ রুশ প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র: এপি রয়টার্স।