আদিলুর ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা

এডিসি হারুনকাণ্ডে মন্তব্য করে সম্প্রতি বেশ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। এডিসি সানজিদা আফরিনকে নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। এবার কথা বললেন মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানকে নিয়ে।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তিনি আদিলুর রহমান খানকে নিয়ে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি বলেন, আদিলুর ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। তিনি নিরপেক্ষ হন কি করে?

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, আমি একসময় পেশাগত সাংবাদিক ছিলাম। এখন আমি পেশাগত নিরপেক্ষতা হারিয়েছি। এখন, কোনো মিডিয়াও আমাকে চাকরি দিবে না। কারণ, আমি একটি দলীয় সরকারপ্রধানের উপ প্রেসসচিব ছিলাম। আমি যতই নিরপেক্ষ কথা বলি না কেন, সবাই এর মধ্যে দলীয় গন্ধই খুঁজবেন।

অধিকার আদিলুর রহমান নাকি মানবাধিকার কর্মী। তাকে নিয়ে বিভিন্ন দূতাবাস, বিদেশি কিছু সংস্থা এবং মিডিয়াতে তোলপাড়। এই আদিলুর রহমান খান এক সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ছিলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের নিযুক্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন, তিনি নিরপেক্ষ হন কি করে?

আর তিনি নিরপেক্ষ নন বলেই, ২০১৩ সালের হেফাজতের ঘটনার পরপর তার এনজিও অধিকার সারা দেশে গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে। কয়েক হাজার হেফাজত কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে রিপোর্ট দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রচার করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে এরপক্ষে কোনো তথ্য-উপাত্ত দিতে পারেননি। তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেশে অস্থিরতা তৈরি করেছিলেন। সেই অপরাধের শাস্তি তিনি পেয়েছেন, এখানে মানবাধিকারের ইস্যু কেন আসবে?

হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযানে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও সংগঠনটির পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ৪৮ বিশিষ্টজন। বিবৃতিতে তারা আদিলুর ও এলানের মুক্তি দাবি করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে সব হয়রানির অবসান চাওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *