আজ হতে পারে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে আজ বৃহস্পতিবার। তপশিল ঘোষণার আগে এ সভা অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এ সভা থেকেই গঠিত হতে পারে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচন ঘিরে প্রচার ও অর্থ উপকমিটির সদস্যদের নামও ঘোষিত হতে পারে এ সভা থেকে। গণভবনে আজ সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিতব্য

কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুরোধ করেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে চেয়ারম্যান ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং

সদস্য সচিব ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া কমিটিতে দলের উপদেষ্টা পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা ছিলেন। গত তিন জাতীয় নির্বাচনে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য হোসেন তৌফিক (এইচটি) ইমাম।

তার মৃত্যুতে এই পদটি শূন্য হয়। সাবেক কয়েকজন শীর্ষ আমলার নাম এ পদের জন্য শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এর পরিবর্তে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি করা হবে, যেখানে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক সাবেক

মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ আরও কয়েকজন এ কমিটিতে থাকবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক কালবেলাকে বলেন, নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে এসেছে। এ সময় দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সভা থেকেই নির্বাচন কেন্দ্র করে

বিভিন্ন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে নির্বাচনের আগে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যানে পদটি আলোচনায় আসে। তখন সাবেক সচিব শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে কমিটির কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ

নির্বাচনেও কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর পর এইচটি ইমাম নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। এরপর ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কো-চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *