আজান দেওয়ার সময় মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে পালালেন যুবক

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ফজরের আজান দেওয়ার সময়ে মুয়াজ্জিন নুরুল ইসলাম লেদুকে কুপিয়ে পালিয়ে গেছেন এক যুবক। আহত মুয়াজ্জিনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রোববার ভোররাতে একই এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মসজিদের ভেতরে গিয়ে এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মুয়াজ্জিনের ছেলে মুনাব্বর হোসেন ইকরাম তার বাবাকে আজান দেওয়া অবস্থা কুপিয়ে জখম করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন। বাবার পক্ষে তিনি বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।

ঘটনার বিবরণীতে দেশগাঁও বায়তুল নূর জামে মসজিদের ইমাম শাহ সুলতান ভূঁইয়া বলেন, মিঠু গত কয়েকদিন ধরে তাকে ও মুয়াজ্জিনকে গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গেল বৃহস্পতিবার স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুর রহমানের ছোট ছেলের মৃত্যু ও জানাজার খবর মসজিদে মাইকিং করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মিঠু। কেনো শিশুর মৃত্যুর খবর মাইকিং করা হলো এর জবাব চান মিঠু।

মুনাব্বর হোসেন ইকরাম বলেন, শনিবার রাতে বাবাকে গালিগালাজ ও হুমকি দেন মিঠু। তখন স্থানীয় দোকানের সামনে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। ভোরে বাবা আজান দেওয়া অবস্থায় এই হামলা হয়। পরে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

নাম না প্রকাশে মাদরাসার একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ফজরের আযানে ‘হাইয়াআলাস সালা, হাইয়াআলাস সালা’ বলার পর মুয়াজ্জিন নুরুল ইসলাম লেদু বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দেন। দ্রুত এসে দেখি মিঠু মসজিদ থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যান।

অভিযুক্ত মিঠুর ছোট ভাই শাহ পরান জানান, তার বড় ভাই মিঠু এই ঘটনায় জড়িত নন। যারা এমন হামলায় জড়িত তাদের শনাক্ত করে বিচারের দাবি জানান তিনি। তবে তার ভাই মিঠু সকাল থেকে পলাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রশিদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *