অস্ত্র-মদ হাতে ছাত্রলীগ নেতার ছবি ভাইরাল

চট্টগ্রামে অস্ত্র ও মদের বোতল হাতে তোলা ছবি নিয়ে আলোচনায় এসেছেন চট্টগ্রামের এক ছাত্রলীগ নেতা। সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া এসব ছবি ঘিরে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তবে ওই নেতার দাবি, ছবিটি সুপার ইডিট করা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল এবং চাঁদা না দেওয়ায় একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

সম্প্রতি অস্ত্র নিয়ে আলোচনায় আসা এ ছাত্রলীগ নেতার নাম আরিফুল আলম শিপন। তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন।

অস্ত্র হাতে নিয়ে সমালোচনার একপর্যায়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পতেঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি। সেখানে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়।

কালবেলার হাতে আসা কিছু ছবিতে দেখা গেছে, হলুদ ও নীল টি-শার্ট পরা এক যুবক রিভলবার হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। হাসিমুখে পোজ দিয়ে পিস্তল লোডিংয়ের চেষ্টা করছেন আরেকটি ছবিতে। অন্য আরেকটি ছবিতে মদের বোতল ও গ্লাস নিয়ে হাস্যোজ্জ্বল তিনি। বলা হচ্ছে ছবিটি আরিফুল আলমের আরও বেশ কয়েক বছর আগের।

চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল আলম বুধবার সন্ধ্যায় কালবেলাকে বলেন, ‘এ ছবিতে যে যুবককে দেখা যাচ্ছে সেটি আমি নই। বলা হচ্ছে আরও ৩-৪ বছর আগের ছবি। এটা মোটেও আমার ছবি নয়। এটি সুপার এডিট করা। এ বিষয়ে আমি থানায় জিডি করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে আমার হোয়াটসঅ্যাপে একজন লোক সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ছবিগুলো দিয়েছিলেন। আমার বাবা একজন সরকারি কর্মকর্তা। আমি ভালো ফ্যামিলির ছেলে। আমার বিরুদ্ধে কে বা কারা ষড়যন্ত্র করছে। তবে এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানায় জিডি করেছি।’

এদিকে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ছবিতে যে পিস্তলটি দেখা যাচ্ছে সেটি ইতালীয় ব্র্যান্ডের। বৈধভাবে যেটার দাম ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা। অবৈধভাবে এ অস্ত্র দেশের অভ্যন্তরে কেনাবেচা হয় কি না তা নিশ্চিত করতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ও পতেঙ্গা থানার এসআই ফরিদ আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ‘আরিফুল আলম যে জিডি করেছেন, সেটা তদন্তের অনুমতির জন্য আদালতে পাঠানো হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া জিডির তদন্ত করা যায় না। তদন্তের পরে বিস্তারিত জানা যাবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *