অভিজ্ঞ হিসেবেই মাহমুদউল্লাহকে বিশ্বকাপ দলে চাই: সুজন

বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে চান বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তার মতে, এতদিন যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে তা ব্যর্থ, তাই বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে আস্থা রাখতে হবে অভিজ্ঞদের ওপর। কেন এতদিন নাঈম, রনি কিংবা তানজিদদের নিয়ে চেষ্টা করা হলো সেই প্রশ্ন তিনি ঠেলে দিয়েছেন নির্বাচকদের কোর্টে।

এখন মাঠের ক্রিকেটে কীভাবে তামিম-সাকিবের দূরত্ব কমিয়ে আনা যায় সে নিয়েও কাজ করবেন তিনি। আবারও টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে ফিরে যমুনা টিভিকে এমন কথাই জানিয়েছেন বিসিবি’র এই পরিচালক। খালেদ মাহমুদ সুজন, বলা হয় এদেশের ক্রিকেটের ক্রাইসিস ম্যান। যদিও চান্দিকা হাথুরুসিংহে আসার পর জাতীয় দলের দায়িত্বে দেখা যায়নি তাকে। এশিয়া কাপ ব্যর্থতায় আবার যখন বাংলাদেশ দল বিপদে, ডাক পরেছে সেই সুজনের। বিশ্বকাপেই ফিরবেন টিম ডিরেক্টরের ভূমিকায়। রাসেল ডোমিঙ্গো থেকে হাথুরুসিংহে মাঝের এই সময়ে বদল হয়ে গেছে অনেক কিছুর। কোচের সাথে অধিনায়কের মতের অমিল-নতুনের জয়গান-আরো কত কী? এই প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, রাসেল ডোমিঙ্গোর সাথে তামিমের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সেটাও কমাতে আমি চেষ্টা করেছি, এরপর তাদের ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল।

আমার ইচ্ছে আছে, হাথুরুকেও (হাথুরুসিংহে) চিনি, তামিমকেও চিনি তারা দু’জনই খুব ইমোশনাল। আমিও ইমোশনাল, তাই ইমোশনাল মানুষগুলোকে জোড়া লাগাতে হবে এটাই আমার কথা। কোচ তো আছেই সাকিব-তামিম দুই সিনিয়রের সম্পর্ক নিয়ে কম কথা হয়নি। দলের অভিভাবক হিসেবে কী ভূমিকা থাকবে সেখানে? এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, আমি বলছি না যে, তামিম-সাকিবকে বেস্ট ফ্রেন্ড হতে হবে এটা আমি চাই না, তাদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসা জাগুক সেটাও আমি চাচ্ছি না। কিন্তু দেশের হয়ে যখন খেলবে তখন তাদের সর্বোচ্চ যোগাযোগ করতে হবে। সেটা মাঠে, মাঠের বাইরে যোগাযোগের এতো দরকার নাই। তাদের মধ্যে যদি কোনো ভেদাভেদ থাকে, এই ভেদাভেদগুলো শেষ করতে হবে, আমরা যদি বিশ্বকাপে ভালো করতে চাই।

আমি মনে করি এটা তামিমের বাংলাদেশ, আমি মনে করি এটা সাকিবের বাংলাদেশ, আমাদের সবার বাংলাদেশ। এর মাঝে অনেকটা ব্রাত্যই হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নিউজিল্যান্ড সিরিজেই তার ফেরার কথা। তবে সুজনের কথায় স্পষ্ট রিয়াদ ফিরছেন বিশ্বকাপ দলেও। এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, এই বিশ্বকাপে আর রিস্ক নেয়া কতটা ঠিক হবে এটা আমার প্রশ্ন? তরুণ খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপের প্রেশার নিতে পারবে কিনা? এশিয়া কাপে কিন্তু প্রেশার নিতে পারেনি। আমি চাই রিয়াদ দলে চাই।

কারণ, ওর (রিয়াদ) অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। এর মাঝে দল নির্বাচন নিয়েও কম কথা হয়নি। কেন এক ম্যাচ খেলে বাদ রনি তালকুদার, তানজিদ তামিম? কেনই বা নাইম শেখ বার বার? মিনহাজুল আবেদিন নান্নুদের পরিকল্পনা আসলে কী? এই প্রসঙ্গে সুজন বলেন, এইটা হয়তো টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে যে, যখন সিলেকশন হয় তখন নিশ্চয়ই কোনো যুক্তির খাতিরে বের করেছে।রনি তো কারো শত্রু না যে, তাকে বের করে দিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *