অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৩৭

একটি অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন গর্ভবতী নারী ছিলেন। স্থানীয় ইবা সম্প্রদায়ের প্রধান এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গত মঙ্গলবার বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইবা সম্প্রদায়ের প্রধান রুফাস ওয়েলেকেম জানিয়েছেন, গত সোমবার ভোররাতে রিভার স্টেটের ইবা এলাকায় বিস্ফোরণের পর প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আগুনে ৩৫ জন লোক মারা গেছে। ভাগ্যবান দুজন সেখান থেকে প্রাণ নিয়ে পালাতে পারলেও তারা আজ সকালে হাসপাতালে মারা গেছেন।’

এ ছাড়া রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাস্থলে পোড়া পামগাছ এবং মোটরবাইকে ঘেরা খোলা জায়গায় ১৫ জনের মৃতদেহ দেখেছেন। স্বজনেরা নিহতদের কয়েকজনকে শনাক্ত করে দাফনের জন্য নিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি।

নাইজেরিয়ার তেল-সমৃদ্ধ নাইজার বদ্বীপ অঞ্চলে অবৈধ তেল পরিশোধন একটি সাধারণ ঘটনা। দরিদ্র স্থানীয়রা লাভের জন্য দেশটির প্রধান প্রধান তেল কোম্পানির পাইপলাইন থেকে তেল চুরি করে অবৈধ শোধনাগারে বিক্রি করে। বিপজ্জনক এই প্রক্রিয়ার কারণে অনেক সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া চোরাকারবারীদের অবৈধ এই তেল শোধন প্রক্রিয়ার কারণে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির একটি অঞ্চল ভয়াবহ দূষণের শিকার হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকার কৃষিজমি, নদীনালা এবং উপহ্রদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মূলত চরম বেকারত্ব এবং দারিদ্র্যের কারণে নাইজেরিয়ায় অবৈধ তেল পরিশোধন আকর্ষণীয় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। নাইজেরিয়া অবশ্য বছরের পর বছর ধরে তেল পরিশোধনের এই অবৈধ শোধনাগারগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করে আসছে। তবে এই কাজে তেমন সাফল্য পায়নি দেশটি। তবে এই অবৈধ কর্মকাণ্ডে দেশটির রাজনীতিবিদ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জড়িত বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় পরিবেশবাদী সংস্থাগুলোর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *