প্রেমের টানে টাঙ্গাইলের সখীপুরে ছুটে আসা’ মালেয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিস তার আগের স্বামী-সন্তানের কাছে ফিরে গেছেন। জুলিজার প্রাক্তন’ স্বামী আজগর আলী জুলিজার মালেশিয়ায় পৌঁছানোর কথা নিশ্চিত করেছেন।
২০১৭ সালের আগস্ট’ মাসে ওই তরুণী বাংলাদেশে আসেন।
পরে টাঙ্গাইলের মনিরুলকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারের সময় ছিল মাত্র ১৫ দিন। এরপর নিজ দেশে ফিরে’ যান ওই তরুণী। ওই ১৫ দিনে মনিরুলের পরিবার তার পেছনে ৮০ হাজারের বেশি’ টাকা খরচ করে। সেই দেনা এখনও টানছেন এবং এই বিয়ের মধ্য দিয়ে ছেলের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন মনিরুলের বাবা ইমান’ আলী।
মনিরুল ইসলামের (২৬) বাড়ি সখিপুরের কাদেরনগর মুজিব কলেজ মোড় এলাকায়। সম্প্রতি মনিরুলের’ গ্রামের বাড়িতে গেলে স্থানীয়রা জানান মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের সঙ্গে ফেসবুকে’ মনিরুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ওই তরুণী মনিরুলের কাছে সখিপুরে চলে আসেন। এরপর কোর্ট ম্যারেজ’ করে সামাজিকভাবে বিয়ে পড়ানো হয়।
হঠাৎ মালয়েশিয়া থেকে খবর আসে ওই তরুণীর’ স্বামী ও চার সন্তান রয়েছে। এরপর ওই যুবক তরুণীকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরে ওই তরুণী নিজ’ দেশে ফিরে যান। মনিরুল ইসলাম বলেন ফেসবুকে জুলিজার সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। প্রায় ছয় মাসের’ সম্পর্কের পর জুলিজা আমার কাছে চলে আসে। পরে কোর্ট ম্যারেজসহ সামাজিকভাবে বিয়ে’ পড়ানো হয়। তার ভিসার মেয়াদ ১৭ দিন ছিল। আমরা ১৫ দিন একত্রে ছিলাম। জুলিজা ফিরে যাওয়ার পর থেকে হতাশ মনিরুল। তিনি বলেন এখন স্ত্রী’ হিসেবে নয় ভালো বন্ধু হিসেবে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। শুনেছি তার স্বামী’ ও চার সন্তান রয়েছে।